কোন খাবারগুলো শিশুর কোষ্টকাঠিন্যতা দূর করে।
কোনো শিশু যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করে ও মল যদি খুব শক্ত হয়ে মলদ্বারে ব্যথার সৃষ্টি করে থাকে তবে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক কারণে হতে পারে। যেমন- খাদ্যাভাসের পরিবর্তন, ফর্মুলা দুধ বা কোনও সাময়িক অসুস্থতা।
তবে, এমন কিছু খাবার আছে যার মাধ্যমে আপনার শিশুর কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা একেবারেই দূর করা সম্ভব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, সেগুলো কি কি-
কলা:
কলাতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া কলায় থাকা পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সুতরাং শিশুর কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কলা উপকারী।
পাকা পেঁপে:
পেঁপে ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে খুবই কার্যকর। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে পাকা পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার এক দুর্দান্ত প্রতিকার।
নাশপাতি:
নাশপাতি দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার মলকে নরম করে অন্ত্রের গতিবিধি ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
একটি মাঝারি আকারের নাশপাতিতে ৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে সহায়তা করে।
পানীয়:
আপনার শিশুর ডায়েটে পর্যাপ্ত তরল বা পানীয়ের অভাবের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
সুতরাং, যদি আপনার শিশু ৬ মাসের বেশি বয়সী হয় তবে আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হয় যে আপনি আপনার শিশুর ডায়েটে পর্যাপ্ত তরল অন্তর্ভুক্ত করবেন।
আপেল:
আপেল ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে খুব উপকারী। সেক্ষেত্রে, খোসাসহ আপেল খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে।
দিনে একটি আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
পপকর্ন:
শিশুদের খুবই পছন্দের একটি খাবার। আশ্চর্যজনক ভাবে এটি ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। প্রতি কাপে প্রায় এক গ্রাম ফাইবার থাকে এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে পপকর্ন যারা নিয়মিত খায় তাদের চেয়ে ২২ শতাংশ ফাইবার খাওয়া হয়।
তাই শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি দারুন উপকারী।
খেজুর:
খেজুরে যেমন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, তেমনই একই সঙ্গে থাকে প্রচুর মাল্টিভিটামিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ৩.৫ আউন্স খেজুর থেকে আমরা প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার পেতে পারি।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
রাতে খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই ভেজা খেজুর আপনার শিশুকে খেতে দিতে পারেন আবার জুস করেও দিতে পারেন।
শিম:
শিম খুবই উপকারী একটি সবজি। কারণ এর মধ্যে একই সঙ্গে জলে দ্রবীভূত হওয়ার মতো ফাইবার থাকে, আবার জলে দ্রবীভূত হয় না এমন ফাইবারও থাকে।
দুটোই শিশুর জন্য খুব উপকারী। তাই আপনার শিশুর কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার এটি একটি বড় সমাধান।