নবজাতককে কিভাবে গোসল করাবেন?

নবজাতকের গোসল নিয়ে মায়েরা বেশ চিন্তিত থাকেন। শিশু জন্মের পরই কি গোসল করাতে হবে, নাকি কিছুদিন পর করানো যাবে? এই নিয়ে মায়েদের আর চিন্তার শেষ থাকে না।

জন্মের পরপরই নবজাতকের শরীরের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলা হয়। তাই জন্মের পরই গোসল করানোর দরকার নেই।

কিন্তু অনেকে গোসল করানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। আবার অনেকে মনে করেন চুল কাটা কিংবা নাভি পড়ার পর গোসল করানো উত্তম।

আসলে জন্মের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর গোসল করানো উচিত।

সবচেয়ে ভালো নবজাতকের নাভি শুকানোর আগে পরিপূর্ণ গোসল থেকে বিরত থাকা। তবে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।

এক্ষেত্রে নরম কাপড় কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর মুছে দেওয়া, মলত্যাগ ও প্রস্রাবের পর শিশুকে ভালোভাবে পরিষ্কার করা দরকার।

এবার জেনে নেওয়া যাক, নবজাতককে কিভাবে গোসল করাবেন?

  • নবজাতককে গোসল করানোর আগে খেয়াল রাখতে হবে ঘর বা বাথরুমের তাপমাত্রা যেন স্বাভাবিক থাকে। এবং যে গোসল করাবে তার হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। আগে থেকেই নবজাতককে গোসল করানো জন্য কুসুম গরম পানি তৈরি রাখুন। নবজাতকের গোসলের পানি কুসুম গরমই উত্তম। এতে বাচ্চার ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
  • শিশুর গা মোছানো তোয়ালে ও কাপড় সঙ্গে রাখুন। প্রথমে শিশুর মাথা ও ঘাড় এক হাতের ওপর রেখে ধীরে ধীরে শরীরের পেছনের অংশ বাথটাবে রাখুন। আবার আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন।
  • নাভি যাতে না ভেজে সেদিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। গোসল আরামদায়ক করার জন্য আলতো করে হালকা গরম পানি শরীরের ওপর হাত দিয়ে আস্তে আস্তে দিন, যাতে সে ঠাণ্ডা অনুভব না করে। হঠাৎ করে গায়ে পানি দিতে যাবেন না।
  • বাচ্চাকে কিছুটা সময় দিন পানির সঙ্গে মানিয়ে নিতে। অনেক নবজাতকই এ সময় কেঁদে ওঠে। বেশি কান্না করলে পানি থেকে উঠিয়ে নিন। গোসলের সময় শিশুর কান, বগল ও কানের পেছনটা নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে দিন। খেয়াল রাখবেন নাকে ও কানে যেন পানি না ঢোকে।
  • নবজাতকের জন্য সাবান, শ্যাম্পুর ব্যবহার জরুরি নয়। কুসুম গরম পানি আর গামছা দিয়েই ভালো করে পরিষ্কার করা সম্ভব। অনেকে গোসলের আগে বাচ্চার শরীরে সরিষা তেল দিয়ে ম্যাসাজ করেন। তেল মাখলে শিশুর ত্বক ভালো থাকবে বা হাড় শক্ত হবে এটা ভুল। গরমে বাচ্চার মাথায় ও ত্বকে তেল মাখবেন না। এতে শিশুর লোমকূপ বন্ধ হয়ে উল্টো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।