৪০+বয়সি নারীদের যে চেকআপ গুলো করা উচিত।

বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের কারণে শরীরে নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সের পর নারীর হার্টের সমস্যা, স্তন ক্যান্সার এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই নারীর ৪০ বছর বয়স হলে অবশ্যই নিচে উল্লেখিত এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা গুলো করানো উচিত—

উচ্চ রক্তচাপ চেকআপ:

মধ্য বয়সি নারীর প্রায়ই রক্তচাপের সমস্যায় পরে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে যদি চিকিৎসা না করানো হয়, তা হলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই কিছু সাধারণ ডায়েট এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তচাপ কমানো যায়।

স্তন ক্যান্সার:

সব বয়সের নারীকেই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানোর পরামর্শ করা উচিত। স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার হচ্ছে খুব সাধারণ দুটি ক্যান্সার, যা সব বয়সি নারীর হতে পারে এবং বয়সে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।

ভাইরাস (HIV) চেকআপ:

প্রত্যেকের HIV চেকআপ পরীক্ষা করা উচিত। HIV শরীরের তরল যেমন রক্ত, বীর্য এবং বুকের দুধের মাধ্যমে বা সূঁচ এর মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে।

অস্টিওপোরোসিস:

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। অস্টিওপোরোসিস হাড়কে আরও দুর্বল করে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি পুরুষের তুলনায় নারীর বেশি হয়ে থাকে।

ব্লাড সুগার চেকআপ:

খাবার খাওয়ার সতর্ক না হলে ৪০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার। ভুল নিয়মে খাবার খেলে তা ওজন বাড়ায় এবং অগ্ন্যাশয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এটি ডায়াবেটিসকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

কোলেস্টেরল পরীক্ষা:

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা হার্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে ডায়েট পরিবর্তন করে এবং কিছু ওষুধ খেয়ে তা কমানো যেতে পারে। তাই ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি পাঁচ বছরে নারীর কোলেস্টেরল স্তর চেক করানো উচিত বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

চোখ এবং দাঁতের পরীক্ষা:

৪০+বয়সি নারীদের চোখ এবং দাঁতের পরীক্ষা করা উচিত। বয়েসের সাথে সাথে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে বা চোখের অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ৪০ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর অন্তত প্রতি দুই বছর পর পর চোখের পরীক্ষা করা উচিত। পাশাপাশি দাঁতেরও যত্ন নিতে হবে। দাঁতে কোন ধরণের সমস্যা দেখা দিল কি না তা জানার জন্য প্রতি ছয় মাসে একবার দাঁত পরীক্ষা করুন।

রেফারেন্স: