চিকেন পক্স হলে যেসব খাবার খাওয়া যাবে না।
বসন্ত কালে চিকেন পক্স বা জলবসন্ত রোগের প্রকোপ বাড়ে। এটি ছোঁয়াচে একটি রোগ। যার কারণে খুব সহজে এবং দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে তা ছড়িয়ে পড়ে।
সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা থুতুর সঙ্গে ভাইরাস ছড়ায়। এমনকি, রোগীর সংস্পর্শে এলেও রোগ ছড়ায়।
আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে ফুসকুড়ি ওঠার ৫-৭ দিন আগে থেকে ও ফুসকুড়ি শুকিয়ে যাওয়ার পরবর্তী ৪-৫ দিন সময় পর্যন্ত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে, রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমে বা কেউ সংস্পর্শে এলে তারও জলবসন্ত বা চিকেনপক্স হতে পারে।
ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। শরীরে প্রবেশের ১৪-২১ দিনের মধ্যে ধীরে ধীরে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
চিকেন পক্স লক্ষণ কি?
প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর হবে। তারপর ২-৩ দিনের মধ্যে জ্বরের মাত্রা বাড়বে। তার সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা হবে। ২-৩ দিন পর থেকে শরীরে র্যাশ বের হবে। র্যাশ যখন বের হয়, তখন চুলকানির অনুভব হবে।
প্রথমে শরীরের মধ্য অংশের সামনের দিকে (বুক বা পেটে) পরে মুখমণ্ডলে র্যাশ বের হয়। পরে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে। তারপর সেটা ধীরে ধীরে জলভরা ফোস্কার মতো আকার নেয়।
চিকেন পক্স হলে খাবার দাবারের বিষয়ে একটু সচেতন হতে হয়। তা না হলে পরে এই রোগের উপদ্রব বেরে যেতে পারে। এবার জেনে নেওয়া যাক, চিকেন পক্স হলে কি খাওয়া যাবে না-
চর্বিযুক্ত খাবার:
চর্বিযুক্ত খাবার বিশেষ করে নারকেল, মাখন, চকলেট, বাদাম ও পনির শরীরের প্রদাহ বাড়ায়। এসব খাবারে খুব বেশি পরিমাণে সম্পৃক্ত চর্বি থাকে।
এধরনের চর্বিযুক্ত খাবার জলবসন্তের গুটির জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। আর তাই এ রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে চাইলে চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
মসলাযুক্ত খাবার:
অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার জলবসন্তের রোগীদের দেওয়া উচিত নয়। রোগীর মুখের ভেতরে ঘা থাকে বলে এসময় এধরনের খাবার বাদ দেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত লবণ:
অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য সব সময়ই ক্ষতিকর। চিকেন পক্স হলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। সেই সাথে ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ফাস্ট ফুডে অতিরিক্ত লবণ থাকে।
অরগিনিনসমৃদ্ধ খাবার:
চীনাবাদাম, ওয়ালনাট, পিনাট বাটার, চকলেট, বীজ ও কিশমিশে প্রচুর পরিমাণ অরগিনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে।
অরগিনিন শরীরের উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড হলেও এই উপাদান জলবসন্তের জীবাণুর বংশ বিস্তার ঘটায়।
টক ফল:
জলবসন্তে আক্রান্তকে ফলের রস দেওয়া যেতে পারে। ফলের রস দ্রুত পানি ও খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। তবে লেবু জাতীয় ফলের রস শিশুকে না খাওয়ানোই ভালো।
কারণ, উচ্চমাত্রায় সাইট্রিক অ্যাসিডের কারণে লেবুর রস মুখের ভেতরে গেলে ক্ষতস্থানে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়।
ঠাণ্ডা খাবার:
এই সময় যেকোনো খাবারই একটু গরম-গরম খাওয়া ভালো। ঠাণ্ডা খাবার একদম খাবেন না। বিশেষ করে ফ্রিজের খাবার ছুঁয়েও দেখবেন না।
এলার্জি যুক্ত খাবার:
এলার্জি হয় এমন খাবার চিকেন পক্স হলে খাবেন না। কারণ এসব খাবার থেকে চিকেন পক্স এর মাত্রা বেরে যায়। হাঁসের ডিম, ইলিশ মাছ, দুধ, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি।