গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়ার উপকারিতা।
মধু সুস্বাদু এবং পুষ্টির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর চিনির বিকল্প। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত মধু খাওয়া যেতে পারে।
মধুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ এবং বিভিন্ন ধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে।
মধুকে divine medicine (সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ঔষধ) বলা হয়। হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ঔষুধ হিসাবে মধু ব্যবহার হয়ে আসছে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় মধুর সাথে ঔষধি গাছ, লতাপাতা, শেকড় ও নানা প্রকারের মশলা মিশিয়ে বিভিন্ন রোগে ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
প্রতিদিন একটু মধু খাওয়া আয়ুর্বেদ সমর্থন করে।
হাজার হাজার বছর ধরে মধুকে খাদ্য ও ঔষধে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি প্রাকৃতিক মিষ্টিকারক হিসাবে সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
কেবল এটিই নয়, গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
আপনি গর্ভাবস্থায় মধু খেতে পারেন?
হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়া নিরাপদ এবং ডাক্তারের পরামর্শে আপনি এটি আপনার ডায়েটেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে মধু বাচ্চাদের পক্ষে নিরাপদ নয়।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক, গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
মধুর পুষ্টিকর গুণমান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহের উপস্থিতি এবং জীবাণুমুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আপনাকে স্বাস্থ্যকর রাখতে ইমিউনো সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে।
গর্ভবতী নারীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে মধু।
কারণ মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে।
ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে:
মধুর অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য ঠান্ডা এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। গর্ভবতী মহিলার চা বা হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
অনিদ্রার উপশম করে:
ঘুমের ঠিক আগে দুধ খাওয়ার সময় ঘুমের মান উন্নত করার জন্য মধু খাওয়া একটি নিরাপদ উপায় হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় নারীরা চাপ এবং অনিদ্রা ভোগের জন্য এটি বিশেষত দরকারী। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধের সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ঘুম বৃদ্ধি পাবে।
কোষ্টকাঠিন্যতা দূর করে:
গর্ভবতী মহিলাদের কোষ্টকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা। মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা ডায়রিয়া ও কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।
মধু শক্তি বৃদ্ধি করে:
মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। এই প্রাকৃতিক চিনি শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে।
যাঁরা মিষ্টি খেতে পছন্দ করে, তারা মিষ্টির পরিবর্তে মধু খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে:
দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ হার্টের রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে দেয়। সব থেকে মজার বিষয় হলো মধু উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করতে পারে।
এর কারণ এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে যা নিম্ন রক্তচাপের সাথে যুক্ত।