বমি কমাতে কোন প্রাকৃতিক খাবারগুলো কার্যকরী?
বেশিরভাগ সময় বমি বা বমি বমি ভাবের উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সাধারণ বমিতে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও এই বমি কিন্তু অনেক অসুখের উপসর্গ।
যখন আমাদের দেহ সংক্রামিত কোনও কিছু গ্রহণ করে তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এটি বমি আকারে বের করে দেয়।
বমি করলে যে কেউ খুব দুর্বল হয়ে যায়। এজন্য বমির কারণ ও বমির কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী।
বমি হওয়ার কারণ সমূহ:
অনেক কারণে বমি হতে পারে। নিচে বমি হওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ দেওয়া হলো –
- গতি অসুস্থতা
- গর্ভাবস্থা (বিশেষত প্রাথমিক পর্যায়ে)
- খাদ্যে বিষক্রিয়া
- মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া
- সংক্রমণ, বিশেষত পেটের
- কিছু ওষুধের কারণে
- তীব্র ব্যথা
- স্ট্রেস এবং ভয়
- গলব্লাডার রোগ
- আলসার
- কিছু গন্ধের প্রতিক্রিয়া
- গ্যাস্ট্রোপারেসিস
- অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা
বমি কমানোর প্রাকৃতিক খাবার:
সাধারণ বমিতে ভয়ের কিছু নেই। বমি কমানোর বেশ কিছু খাবার রয়েছে। নিচে বমি কমানোর খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –
আদা:
আদাতে এমন গুণ রয়েছে যা পাকস্থলীর জ্বালা কমিয়ে তাৎক্ষণিক স্বস্তি আনতে পারে। এজন্য বমি বমি ভাব দূর করতে আদা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
আদা খাওয়ার সেরা উপায় হল আদা চা খাওয়া। এটি দ্রুত বমি বমি ভাব দূর করে করতে সাহায্য করবে।
এছাড়া আদা কুচি কুচি করে কেটে পানিতে মিশিয়ে তার সাথে এক চা চামচ মধু যোগ খাওয়া যেতে পারে।
লবঙ্গ:
কয়েকটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাখুন। লবঙ্গের গন্ধ এবং স্বাদ বমি বমি ভাব দূর করার জন্য খুব কার্যকরী।
বমিভাব এড়াতে লবঙ্গ চা পান করুন। এক চা চামচ লবঙ্গের গুঁড়া এক কাপ পানিতে কিছুক্ষন গরম করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আস্তে আস্তে এটি পান করুন।
যদি এর স্বাদ কটু লাগে তবে এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
লেবু:
এক গ্লাস পানিতে লেবুর রস মিশ্রিত করে তা পান করুন। প্রয়োজনে লেবুর পানির স্বাদ বাড়ানোর জন্য মধু যোগ করা যেতে পারে।
লেবুতে যে ভিটামিন এবং খনিজগুলি আছে তা বমি বমি ভাবের প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করতে পারে এবং দ্রুত বমি বমি ভাব হ্রাস করতে সাহায্য করে।
এক টুকরা লেবু নাকের কাছে নিয়ে কিছুক্ষণ শুঁকে দেখতে পারেন, এটিও শারীরিক অস্বস্তি অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
মৌরি:
বমি বমি ভাব কমাতে নিয়মিত বিরতিতে মৌরি চিবানো অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়। এটি মুখের স্বাদ সতেজ করে। বমি বমি ভাব এড়াতে মৌরি চাও পান করা যেতে পারে।
কমলালেবুর রস:
তাজা ঘরে তৈরি কমলার রস দ্রুত হারে শরীরের হারানো খনিজ, ভিটামিন এবং পুষ্টি পূরণ করে।
এটি রক্ত চাপের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে আনতে সাহায্য করে। কমলার সিট্রাসি স্বাদ বমি বমি ভাব এড়াতে সহায়তা করে।