শরীরে গরম তেলের ছিটা লাগলে কি করবেন।

কিছু কিছু মানুষের কাছে রান্না করা শখের কাজ, আর কারও কাছে দায়িত্ব। সে দায়িত্ব হোক বা শখ প্রতিদিনের খাবার তৈরির জন্য আমাদের রান্নার কাজ করতেই হয়। এই কাজ বেশ দক্ষতার সঙ্গে ধীরে সুস্থে করতে হয়। তাড়াহুড়ো করে রান্নার কাজ সারতে গেলে অনেক সময় গরম তেলের ছিটা লেগে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যেতে পারে।

গরম তেলের ছিটা যদি অল্প লাগে তবে খুব একটা সমস্যা হয় না। তবে একটু বেশি হলেই কিন্তু মুশকিল। সাথে সাথে হয় পুরে যাওয়া স্থানে ফোসকা পড়বে তা না হলে তেলের ছিটা লেগে স্কিন কালো হয়ে যাবে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কি হয় তেলের ছিটা লেগেছে কিন্তু হাতের কাছে সবসময় মলম নাও থাকতে পারে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ফোসকা পড়তে পারে এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে। তবে, এ সময় ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা অবলম্বন করে সহজেই ত্বকের বড় ক্ষতি রোধ করা সম্ভব।

শরীরে গরম তেলের ছিটা লাগলে যা করবেন
আসুন এবার জেনে নিই, সেগুলো কি কি-

ঠাণ্ডা পানি:

গরম তেলের ছিটা লাগলে ফ্রিজে থাকা ঠাণ্ডা পানি খুব কাজে দেয়। ঠাণ্ডা পানি পোড়া জায়গার জ্বালা কমায়। প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পর পর পুড়ে যাওয়া স্থানটি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে পোড়া স্থানে একদমই বরফ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ বরফ পোড়া স্থানের রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিয়ে পোড়া স্থানের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মধু:

কম বেশি সবার বাড়িতে মধু থাকে। মধুর প্রাচীন কাল থেকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্টের কারণে ক্ষত এবং পোড়া নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধু লাগালে ফোসকা পড়বে কম আর তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যাবে।

অ্যালোভেরা:

গরম তেলের ছিটা লাগলে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে জ্বালা অনেকটা কমে। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে দ্রুত তার পাতা ছিঁড়ে ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরার ঔষধী গুণের জন্য, ময়শ্চারাইজিং এবং শীতলকারক বৈশিষ্টের কারণে, এটি পোড়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। অ্যালোভেরা প্রাথমিকভাবে পুড়ে যাওয়া ক্ষত নিরাময়ে এবং ব্যথার উপশম কমাতে পারে।

কলার খোসা:

কলার খোসা পোড়া জায়গায় লাগালেও আরাম পাওয়া যায়। কলা বা কলার খোসা পোড়া অংশে লাগিয়ে রাখুন যতক্ষণ না খোসা কালো হয়ে যাচ্ছে।

নারিকেল তেল:

তেলের ছিটা লাগা স্থানের জন্য নারিকেল তেল বেশ উপকারী একটি জিনিস। হঠাৎ করে হাত তেল ছিটে গেলে সেখানে একটু নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পর পুড়ে যাওয়া স্থানে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। দেখবেন জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে গেছে।

টকদই:

তেলের ছিটা লাগলে ক্ষতস্থান পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। মিনিট ত্রিশেক পরে সেখানে টক দই ব্যবহার করুন। এতে আক্রান্ত স্থান অনেকটাই ঠান্ডা হবে।

টি ব্যাগ:

শরীরে গরম তেলের ছিটা লাগলে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন টি ব্যাগ। টি ব্যাগে থাকে ট্যানিক অ্যাসিড। এটি আক্রান্ত স্থানের গরম শোষণ করে পুড়ে যাওয়া জায়গাটিকে ঠান্ডা করে তোলে। এর ফলে ব্যথা অনেকখানি কমে যায়।