টক দই – ওজন কমায়, হজমকারক, হাড় শক্ত করে ও মনমেজাজ ভালো রাখে।

দই নামটি শুনলেই যেনো মনটা ভালো হয়ে যাই, জিভে পানি চলে আসে। কিন্তু সেটা হলো মিষ্টি দই এবং এটা খেতেই আমরা অভ্যস্ত। তবে দইয়ের উপকারিতা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই টক দই খেতে হবে। স্কিমড মিল্ক বা মাখন তোলা দুধ থেকে তৈরি টক দই হলো সবচেয়ে উপকারী ও স্বাস্থ্যসম্মত।

প্রতিদিন খুব বেশি নয় অল্প একটু “টক দই” খান। প্রতিদিন অল্প একটু টক দই খেলেন তো বেঁচে গেলেন। কি থেকে বাঁচলেন সেটা আস্তে আস্তে পুরোটাই পরিষ্কার হবে। সাধারণত আমরা দুপুরের খাবারের পর দই খেয়ে থাকি আর এই অভ্যাসটি খুবই উপকারী। পৃথিবীর সব জায়গাতেই দই খাওয়ার চল আছে।

দই একটি প্রোবায়োটিক খাবার অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়াযুক্ত খাবার। টক দই অন্ত্র বান্ধব ব্যাকটেরিয়াতে পরিপূর্ণ থাকে। ডাক্তার বা পুষ্টিবিদেরা সবসময়ই টক দই খেতে পরামর্শ দেন। বাইরের দেশ গুলোতে যেমন: ভারতে খাবার পরে সবসময় টক দই খায়। টক দই একটি lactic fermented খাবার।

টক দই একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার, কারণ এতে আছে দরকারী ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি। এটি দুগ্ধজাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার। এমনকি এটি দুধের চাইতেও বেশি পুষ্টিকর খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়। কারণ দুধের চাইতে  বেশি  vitamin, যেমন: vitamin B complex, calcium, phosphoras টক দইতে পাওয়া  যায়।

সাধারণ এবং সরল ভাষায়, দই হলো দুধের ব্যাকটেরিয়াল গাঁজনের ফল। আপনার যা দরকার তা হল পাস্তুরাইজড মিল্ক এবং ব্যাকটিরিয়া। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন দুধের ল্যাকটোজ সুগারকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত করে। এই ল্যাকটিক এসিডের কারণেই আমরা দইয়ের অসম্ভব সুন্দর টক স্বাদ উপভোগ করে থাকি।
দই যদি আমরা গবেষণাগারে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখি তাহলে দেখতে পাবো অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া বিচরণ করছে। ভয় নেই এগুলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং প্রায়শই এগুলি কয়েক মিলিয়নে সংখ্যায় থাকে।

টক দই বা ইয়োগার্ট কেন ভালো, তা বলার আগে একটা ছোট্ট ইতিহাস বলে নিলে ভালো হয়। অনেক বছর আগে রাশিয়ার একটা প্রদেশের মানুষের ক্ষেত্রে অদ্ভুত কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। দেখা যায় ওই প্রদেশের মানুষের গড় আয়ু অনেকটাই বেশি। কেন এমন? বিষয়টা নিয়ে খোঁজ করতে শুরু করেন রাশিয়ান চিকিৎসক মেচিনিকভ।

দেখা যায়, ওই প্রদেশের মানুষ নিয়মিত দু’বেলা পাতে দই রাখেন। বিষয়টি নজরে পড়ে তার। তিনি বুঝতে পারেন দীর্ঘকাল যাবৎ সুস্থ্য থাকার পিছনে দই-এর নিশ্চয় কোনো ভূমিকা আছে। তিনি গবেষণা করে দেখেন, দইয়ে থাকা বিভিন্ন উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর পদার্থকে আটকাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

এছাড়াও দইয়ে আছে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন “এ” ইত্যাদি নানা উপাদান। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজমে সাহায্য করে, বয়স বাড়ার পরিবর্তন রোধ করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় দই। এই গবেষণার জন্য মেচিনিকভ নোবেল পুরস্কার পান।

কোনটা খাবেন-মিষ্টি দই না টক দই?

দই পাতার সময় দুধের সাথে চিনি মেশালে হয় মিষ্টি দই। কিন্তু চিনি থাকলেই অ্যাসিড হওয়া থেকে শুরু করে শরীরে নানা দুর্বিপাকের সম্ভাবনা। মিষ্টি দই একেবারেই চলবে না। সবসময় টক দই খেতে হবে। কারণ মিষ্টি দই মানে হলো অতিরিক্ত চিনি। সুগার মানেই অতিরিক্ত ক্যালোরি। সেখান থেকে ওজন বৃদ্ধি।

দুধের বদলে টক দই:

অনেকেরই পেটে দুধ সহ্য হয় না। দুধ খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। কয়েকজন ছানাও খেতে পারেন না। তাঁদের ক্ষেত্রে দই খুব ভালো পুষ্টির উৎস হতে পারে। দেখা গেছে, দই এবং দুধের রাসায়নিক গঠনে তফাৎ আছে যথেষ্ট। দুধ এবং ছানার যে অংশের (মিল্ক প্রোটিন) জন্য অ্যালার্জি হয়, সেই অংশটিই দইয়ে থাকে না। এখানেই দই খাওয়ার সার্থকতা। কারণ দুধে যে ল্যাকটোজ থাকে, তা দইয়ে অনুপস্থিত। এছাড়া দই সহজপাচ্য হওয়ায় বয়স্ক মানুষদেরও দই খেয়ে হজম করতে বেগ পেতে হয় না।

কীভাবে দই খাবেন?

মূল খাদ্যের সঙ্গে দই রেখে খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ লাঞ্চ ও ডিনারের শেষে দই খেতে পারেন। এভাবে দৈনিক গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম দই খাওয়া যায়। দই খাদ্য হজমে সাহায্য করে তা আগেই বলা হয়েছে। এছাড়া অনেকটা পরিমাণ দই-এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ স্যালাড দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার মাছ-মাংস দই দিয়ে রান্না করলে বা ম্যারিনেট করার জন্য দই-এর ব্যবহার করলে তা হজমে সহায়ক হয়।

কোন কোন অসুখে বেশি করে দই খাবেন :

যাঁদের খাদ্য হজমে সমস্যা হয়, তারা লাঞ্চ ও ডিনারে দই খান। এছাড়া অস্টিওপোরোসিসের রোগীদের নিয়মিত টক দই খাওয়া উচিত। কারণ দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। ফলে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে দই বিশেষ ভূমিকা নেয়। দই কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের পক্ষেও উপকারী। দই অন্ত্রনালি পরিষ্কার রাখে। শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা গেছে, নিয়মিত টক দই খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হজমশক্তি বাড়ে, এমনকী ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

দই-এর উপকারিতাঃ

দুধে সঠিক ব্যাকটেরিয়া সংমিশ্রণ করে টক দই বা ইয়োগার্ট তৈরি হয়। ব্যাকটিরিয়া দুধকে ঘন করে তোলে এবং এটির স্বাদ আলাদা দেয়। দইয়ের কিছু স্বাস্থ্য উপকারীতা নিচে আলোচনা করা হলো।

হাড় ও দাঁতের নির্মাণকর্তা ও রক্ষাকর্তা:

আমরা সবাই জানি, দুধ বা দই হলো ক্যালসিয়ামের খনি বা ভান্ডার। ক্যালসিয়াম এমন একটি খনিজ যা শক্তিশালী হাড় ও দাঁত বজায় রাখতে এবং অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করতে শরীরকে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। প্রায় সমস্ত ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতে জমা থাকে, যেখানে এটি তাদের গঠন এবং মজবুত রাখতে সহায়তা করে।

আমাদের শরীরে বিশেষ করে মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত জরুরী। ৩০ বছর বয়সের পর থেকে অনেক মহিলাদের ক্ষেত্রে হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্বাদু খাবারের সাথে সাথে যদি আমাদের দাঁত আর হাড় সুরক্ষিত থাকে তাহলে ক্ষতি কি? এছাড়াও, ক্যালসিয়াম রক্তনালীগুলির সারা শরীর জুড়ে রক্ত সঞ্চারে এবং মানব দেহের প্রায় প্রতিটি কার্যকে প্রভাবিত করে এমন হরমোন এবং এনজাইমগুলি মুক্ত করতে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হয়।

দই ওজন কমায় :

যারা ওজন কমানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তারা তাদের ডায়েটে দই অন্তর্ভুক্ত করুন। দইতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় দই স্থূলত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরের চর্বি আমাদের মোটা করার সাথে সাথে অনেক অসুখও বহন করে নিয়ে আসে।

চর্বিতে থাকা কর্টিসল হরমোনটি স্থূলতা বাড়ায় ও আমাদের শরীরে ডেকে আনে বহু রোগ। ক্যালসিয়াম কর্টিসল হরমোন তৈরিতে বাধা দেয় যা শরীরকে ওজন বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায় না। সঠিক পরিমাণে দই নিয়মিত সেবন করলে ওজন কমাতে এবং ফিটনেস বাড়াতে সহায়তা করে।

দই বিষন্নতাকে দূর ও চাপ মুক্ত করে:

আমরা সবাই চাই উদ্যোমী হতে। বিসন্নতা ও মনমরা হয়ে কেউ থাকতে চাই না। আজকের এই প্রতিযোগিতামূলক ও হাজারো সমস্যা ভারাক্রান্ত সমাজে টেনশন ও চাপমুক্ত থাকা খুবই কঠিন। দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া অর্থাৎ অন্ত্রবান্ধব ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদান আমাদের মস্তিকের চাপ কে নিয়ন্ত্রণ করে।

গবেষণা অনুসারে, দই মস্তিষ্কে শিথিলতা এবং সংবেদনশীল ভারসাম্য সরবরাহ করে। নিয়মিত টক দই খেলে মানসিক অশান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

দই আমাদের হজম শক্তিকে বাড়ায় :

সারাদিন আমরা যে, কত রকমের খাবার খাচ্ছি তা বলা মুশকিল। এছাড়া বুঝে হোক বা না বুঝে-বাইরের খোলা খাবারও আমরা খেয়ে থাকি প্রায়শ। ফলে হজমে গরমিল শুরু হয়ে যায়। তার ফলে পেটে ব্যাথাসহ পেটের নানা অসুবিধা দেখা দেয়।

দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া। উদাহরণ হিসেবে ল্যাকটোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফাইলাস নামক ব্যাকটেরিয়ার কথা বলা যায়। দইয়ের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের পৌষ্টিকতন্ত্রে পৌঁছয় ও খাদ্য হজমে সাহায্য করে।

দই আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে যার ফলে আমাদের শরীরের পরিপাক শক্তি বাড়ে এবং পেটের সমস্যা দূর হয়ে যায়। খাবার খাওয়ার পর দই খেলে তা খাবার পরিপাক হতে সাহায্য করে।

আলসার ও ক্যান্সারের আশংকা কমায় :

দই আমাদের পেটের আলসার হওয়ার সম্ভবনা কে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রকেও সুরক্ষিত রাখে দই। আমাদের পেটের ক্যান্সারের সম্ভাবনাকেও দূরে সরিয়ে রাখে। দইয়ের মধ্যে রক্তের কোলেস্টরলকে কমানোর ক্ষমতা আছে।

তাই নিয়মিত দুপুরের খাবার পর দই খাওয়া খুবই উপকারী।

বাচ্চাদের জন্য দই খাওয়া খুবই উপকারী :

দই কিন্তু এমনই একটি খাদ্য যা সহজে বাচ্চারাও হজম করতে পারে। দই এর মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে যা বাচ্চাদের নরম হাড়কে শক্ত বানায় আর বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দইয়ে যে প্রোটিন থাকে তা সহজেই বাচ্চারা হজম করতে পারে। তাই দই বাচ্চাদের জন্যও খুবই প্রয়োজনী।

এটি এমনি এমনি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় যেমনঃ  ফালুদা, লাচ্ছি, সালাদে, রান্নায় ইত্যাদি। টক দইয়ের সাথে মধু, বাদাম ইত্যাদি মিশিয়েও খাওয়া যায়।

ত্বককে ও চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে করে তোলে :

দই জনপ্রিয়ভাবে ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়। এটিতে থাকা খনিজগুলি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ভিটামিন “ই”, জিঙ্ক এবং  দইয়ের উপাদানগুলি ত্বকের উপকার করে।  মুখে দই প্রয়োগ করা ত্বককে মসৃণ করতে এবং আভা, চকচকে ও কোমলতা উন্নত করতে সহায়তা করে।

চুলের সমস্যা যেমন: শুকনো, নিস্তেজ চুল, খুশকি এবং অন্যান্য সমস্যাযুক্ত লোকেরা দই ব্যবহার করতে পারেন। দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বকে পুষ্টি এবং খনিজ সরবরাহ করে, যা খুশকি হ্রাস করে।

দই ইমিউনিটি সিস্টেম কে শক্তিশালী করে :

২০২০ সালে দাঁড়িয়ে প্রযুক্তি যেমন উন্নতি করেছে ঠিক সেইভাবেই এই উন্নতি এই সমাজকে দুষনময় করে তুলেছে। যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে খুবই দুর্বল করে তুলেছে। দই আমাদের শরীরের সেই ইমিউনিটি সিস্টেমকে আবার শক্তিশালী করে তোলে এবং বিভিন্ন রোগের থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এতে কোনো  carbohydrate , চিনি ও trans-fat নেই |

কাদের দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয় :

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ-এর রোগী এবং ডায়াবেটিসের রোগীরা দই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। কারণ দইয়ে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। কিডনি ডিজিজের রোগীর পক্ষে অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম ক্ষতিকারক। অন্যদিকে সুগারের রোগীকে ক্যালরি মেপে খেতে হয়। তাই ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত দই খাওয়া যাবে না।

সতর্কতাঃ

দই কখনো বেশি বাসি করে বা তিন-চারদিন পরে খাবেন না, এতে বিপদ হতে পারে। Bacterial food poison, Bacterial dysentery বা Fungal food poison-এর সম্ভাবনা রয়েছে। – ঘরেপাতা দই-ই সবচেয়ে ভালো।

  • দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে দরকারের থেকে বেশি যেন দ‌ই না খেয়ে ফেলি আমরা।
  • দিনে ৩০০-৫০০ গ্রাম দই খাওয়া ভালো কিন্তু তার থেকে বেশি না খাওয়াই গ্রহণযোগ্য।
  • বেশি দই খেলে আমাদের শরীরে অত্যাধিক ক্যালসিয়াম সৃষ্টি হতে পারে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়াতে পারে।
  • মিষ্টি দইয়ের থেকে টক দই খাওয়া বেশি উপকারী।
  • টক দইয়ের সাথে কিছু ছোট করে কাটা পুদিনার পাতা, ছোট করে কাটা ফল এবং সবজি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এইটা দুপুরের খাবার পর খেলে শরীর ভালো থাকবে আর তার সাথে একটা সুস্বাদু খাবার খাওয়ারও সুযোগ পেয়ে যাবেন।
  • পুষ্টির দিকে দৃষ্টি রাখতে হলে টক দই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ টক দইয়ের উপকারীতা এত রকমের যে, নিয়মিত টক দই একটু না খেলে প্রকৃতপক্ষে একটি সুলভ অথচ পুষ্টি মূল্যবান খাদ্য থেকে নিজেদের বঞ্চিত করা হবে।