লাল শাক কিডনির ফাংশন ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে খুব উপকারী।
লাল শাকের স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলতে গেলে, এটা খাদ্য তালিকার উপরে চলে আসে। আমাদের অতি পরিচিত লাল শাক রূপে এবং স্বাদে অতুলনীয়। লাল শাক সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে লোভনীয় ভিন্ন এক স্বাদ নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়।
৩০ বছর বয়সের পর থেকে হাড়ের ভাঙন আটকানোর পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আয়রন থাকার কারণে লালশাক রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
লাল শাকের পুষ্টিগুণ
লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এটা ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং মাঙ্গানিস এর চমৎকার উৎস। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু উপাদান দেওয়া হলো –
- ক্যালোরি:৬.৪
- কার্বোহাইড্ৰেট: ১.১ গ্রাম
- প্রোটিন: ০.৭ গ্রাম
- ভিটামিন এ: ১৬ %
- ভিটামিন সি: ২০ %
- ভিটামিন কে: ৩৯৯ %
- Folate: ৬ %
- ক্যালসিয়াম: ৬ %
- ম্যাঙ্গানিজ: ১২ %
লাল শাকের উপকারিতা:
ডাক্তাররা মনে করেন যে আপনার খাদ্যের রঙ উজ্জ্বল মানে, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও ভাল। নিচে লাল শাকের উপকারীতা তুলে ধরা হলো–
কিডনির ফাংশন ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে লাল শাক খুব ভালো কাজ করে।
প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় লাল শাক থেকে। ফলে নিয়মিত লাল শাক খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
এটা হজমের জন্য ভালো এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে।
লাল শাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সাররের সেল ও টিউমারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
লাল শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে ৩৯৯% ভিটামিন কে আছে যা হাড়ের সুস্থ্যতায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য লাল শাক অনেক উপকারী। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে মিনারেল ও পুষ্টি যোগায়।
লাল শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী। লাল শাকে বিদ্যমান ভিটামিন এ চোখের রেটিনার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
লাল শাক রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যা হ্নদরোগের ঝুকি হ্রাস করে।
ক্যালরির পরিমান কম থাকার কারনে ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য লাল শাক উপকারী। আবার লাল শাক শরীরের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।