কাঁচা ডিম খাওয়া কি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর?

ডিমে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের ভালো একটি উৎস হলো ডিম। ডিম শরীরে মিনারেল ও ভিটামিনের চাহিদার পূরণ করে। ডিমে আছে ভিটামিন “ই” এবং ভিটামিন বি১২।

এগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডিমের প্রোটিন দেহের পেশি গুলোর শক্তি বাড়াতে এবং শরীরকে কর্মক্ষম করতে সাহায্য করে থাকে। অনেকেই মনে করেন যে রান্না করা ডিমের থেকে কাঁচা ডিম বেশি পুষ্টিকর। এখন প্রশ্ন হলো কোনটা আসলে ঠিক?

কাঁচা ডিম খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কিনা তা নিচে আলোচনা করা হলো:

আমাদের একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে, কাঁচা ডিম রান্না করা ডিমের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর ও নিরাপদ। এটি একটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারনা। এটা ঠিক যে, রান্নার সময় ডিমের ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদানগুলো কিছুটা নষ্ট হযে থাকে। কাঁচা ডিমে ভিটামিন বি, ভিটামিন “ই” ও খনিজ পুষ্টি উপাদান একটু বেশি থাকে। কিন্তু এই পার্থক্য খুব কম।

প্রোটিনের দিক দিয়ে রান্না করা ডিম বেশি উপকারী হয়ে থাকে। আমাদের দেহ কাঁচা ডিম থেকে ৫০% প্রোটিন নিতে পারে। এবং আমাদের দেহ রান্না করা ডিম থেকে ৯১% প্রোটিন নিতে পারে।

রান্না করার সময় তাপ প্রয়োগের ফলে ডিমের প্রোটিন অণুগুলো এমনভাবে পরিবর্তন হয় যে তা আরো বেশি হজমযোগ্য হয়। আমাদের দেহ একটি কাঁচা ডিম থেকে মাত্র ৩ গ্রাম হজমযোগ্য প্রোটিন পায়। অন্যদিকে আমাদের দেহ একটি রান্না করা ডিম থেকে  ৬ গ্রাম হজমযোগ্য প্রোটিন পায়।

এছাড়া কাঁচা ডিমে স্যালমোনেলা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায়। কাঁচা ডিম খাওয়ার কারনে আমরা খাদ্যের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারি।

কিন্তু স্যালমোনেলা জীবাণু শুধু কাঁচা ডিমেই নয় বরং কাঁচা দুধ, মাংস, পঁচা ফল-মুল, পনির এবং সবজিতেও থাকে। ডিম রান্না করলে স্যালমোনেলা নামক এই ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি দূর হয়।

কাঁচা ডিম খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই আমাদের কাঁচা ডিম খাওয়ার ব্যপারে সচেতন হতে হবে।

রেফারেন্স: