আঁশফল ওজন কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দারুণ কার্যকরী।

লিচুর মৌসুম শেষ হতে না হতেই হাতে এসে পৌঁছায় আঁশফল। আঁশফল একপ্রকার লিচু জাতীয় সুস্বাদু ফল। এটি লংগান বা কাঠলিচু নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Dimocarpus longan এবং ইংরেজিতে Longan.

আঁশফল লিচু পরিবারের একটি সদস্য। এই ফলের উপরিভাগ মসৃণ, রঙ বাদামি, আকার গোল এবং লিচুর চেয়ে অনেক ছোট হলেও ফলের শাঁস অবিকল লিচুর মতো এবং ফল খেতেও প্রায় লিচুর মতো।

আঁশফলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও ভিটামিন “সি” থাকে। আঁশফলের বীজ গোলাকার চকচকে কালো। আঁশফল ভিটামিন “সি” এর একটি ভাল উৎস।

উল্লেখযোগ্য পুষ্টি উপাদান

আঁশফলে ৪০% ভিটামিন “সি” রয়েছে। ভিটামিন “সি” স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য, রক্তনালী এবং ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২৮ গ্রাম আঁশফলে ১৭ ক্যালোরি এবং ৪ গ্রাম কার্বহাইড্রেট রয়েছে।

Longan
লংগান বা কাঠলিচু

আঁশফলের উপকারিতা

সুস্বাদু ফল আঁশফলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, নিচে আঁশফলের উপকারিতা দেওয়া হলো –

ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে:

আঁশফল শরীরের মেদ ঝরাতে সহায়তা করতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকলে তা হার্টের রোগ এবং টাইপ-2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

২০০৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, পলিফেনল সমৃদ্ধ আঁশফল ওজন কমাতে, পেটের পরিধি কমাতে এবং তলপেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।

আঁশ বা ফাইবারের উৎস:

আঁশফল খাদ্য আঁশে ভরপুর তাই তো এর নাম হয়েছে আঁশফল। আঁশযুক্ত মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে এবং অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

খাদ্য আঁশ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি:

আঁশফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দেহে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

পলিফেনল নামে এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আঁশফলে বেশি থাকে। এটি লিভার এবং অগ্ন্যাশয়ের সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে:

খুবই সুস্বাদু আঁশফল যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য উপকারী। আঁশফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:

যেকোনো সিজনাল ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

আঁশফলে ৪০% ভিটামিন “সি” রয়েছে যা লিচুর তুলনায় বেশি।

আঁশফলে এই উচ্চ মাত্রার ভিটামিন “সি” থাকার কারণে এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

সতর্কতা

আপনি যদি জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত হন বা অন্য কোনো কারণে রেগুলার কোনো মেডিকেল কোর্স-এর মধ্য দিয়ে যান তাহলে অবশ্যই খাওয়ার আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

সূত্র: হেলথলাইন