যেসব অভ্যাসের কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা হয়।
মাইগ্রেন হলো বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। সাধারণ মাথা ব্যথা এবং মাইগ্রেনের ব্যথা এক রকমের না।
মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার কোনো এক দিক থেকে শুরু হয় এবং তা খুব কষ্টকর হয়ে থাকে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা খুব কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
যাদের মাইগ্রেনের (Migraine) সমস্যা আছে তাদের মারাত্মক মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি বমি বমি ভাব হয়।
শরীরে এবং মুখে এক ধরনের অস্বস্তি দেখা দেয়। এই ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
তাই আমাদের যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলা ভালো। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যেতে পারে।
যেসব অভ্যাসের কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো:
মানসিক চাপ:
যারা বেশি মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করেন এবং ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় মেনে চলেন না তাদেরকে মাইগ্রেনে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই আমাদের মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা উচিত।
পেট খালি রাখলে:
দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।
এর কারণ হচ্ছে, খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আবহাওয়া:
রোদে বেশি সময় ঘোরাঘুরি করলে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও অতিরিক্ত গরমের তারতম্যেও জন্য মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া:
আমরা যদি বেশি পরিমানে মিষ্টি খাবার খাই তাহলে আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়।
যা নিয়ন্ত্রণে করতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন হয়ে থাকে যার কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়।
এভাবে হঠাৎ হঠাৎ করে সুগারের মাত্রার কম-বেশি হওয়ার কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত শব্দ:
বেশি শব্দ বা জোরে গান শুনলে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। প্রচণ্ড জোরে শব্দের কারণে প্রায় দুই দিন মাইগ্রেনের ব্যথা থাকতে পারে।
বেশি ঘুমানো:
অনেক সময় ঘুমের অনিয়মের জন্য শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
যারা নিয়মিত ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘুমান তারা যদি হটাৎ করে একদিন বেশি ঘুমান তাহলে সেক্ষেত্রেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।
হঠাৎ ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া:
যাদের নিয়মিত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া অভ্যাস তারা যদি হঠাৎ করে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া ত্যাগ করে তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।
তাই যদি এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হয় তাহলে ধীরে ধীরে কফি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
এভাবে আমরা চাইলেই কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারি।