উচ্চ ভিটামিন “ই” সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা।

শারীরিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক সুরক্ষায় ভিটামিন এর ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিনসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ভিটামিন “ই”।

ভিটামিন “ই” ৮ টি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন এর একটি গ্রূপ যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে। ভিটামিন “ই” হার্টের রোগ, ক্যান্সার এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা থেকে চোখকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। লিভার, যকৃত, অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন “ই” সহায়তা করে।

স্নায়ু ও মাংসপেশীর কার্যক্ষমতা বজায় রাখতেও ভিটামিন “ই” সাহায্য করে। ভিটামিন “ই” অত্যন্ত উন্নত মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভিটামিন “ই” সহায়তা করে।

ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা ও চুল পড়া রোধে ভিটামিন “ই” এর ভূমিকা অপরিসীম। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন 15 মিলিগ্রাম ভিটামিন “ই” যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয়।

কোন বয়সে কি পরিমাণ ভিটামিন “ই” খাওয়া উচিত

ভিটামিন “ই” (vitamin E) এর অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায়, পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, শরীর ভারসাম্যহীন হয়ে পরে, এবং চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করি।

তাই ভিটামিন “ই” আর অভাব মেটাতে আমাদের ভিটামিন “ই” সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন “ই” যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয়।

  • বয়স যখন ০-৬ মাস তখন প্রতিদিন ৪ মিলিগ্রাম
  • বয়স যখন ৭-১২ মাস তখন প্রতিদিন ৫ মিলিগ্রাম
  • গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম
  • বয়স যখন ১-৩ বছর তখন প্রতিদিন ৬ মিলিগ্রাম
  • বয়স যখন ৪-৮ বছর তখন প্রতিদিন ৭ মিলিগ্রাম
  • বয়স্কদের প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম
  • বয়স যখন ৯-১৩ বছর তখন প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম
  • ১৪-১৮ বছর বয়সে প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম
  • বয়স যখন ১৯+ বছর তখন প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম

নিচে উচ্চ ভিটামিন “ই” সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হলো-

সূর্যমুখীর বীজ

১০০ গ্রামে ৩৫ মিলিগ্রাম

১০০ গ্রামে ১.৫ মিলিগ্রাম

অ্যাভোকাডো

১০০ গ্রামে ২.১ মিলিগ্রাম

১০০ গ্রামে ২.০ মিলিগ্রাম

১০০ গ্রামে ২৬ মিলিগ্রাম

জলপাই

১০০গ্রামে ৩.৮মিলিগ্রাম

লাল ক্যাপসিকাম

১০০ গ্রামে ১.৬ মিলিগ্রাম

১০০ গ্রামে ০.৯ মিলিগ্রাম

মিষ্টি কুমড়ার বীজ

১০০ গ্রামে ২.২ মিলিগ্রাম

গলদা চিংড়ি

১০০ গ্রামে ১.০ মিলিগ্রাম

সূর্যমুখী তেল

১০০ গ্রামে ৪১ মিলিগ্রাম