প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া কিভাবে বন্ধ করতে পারি?
সুন্দর চুল সবারই কাম্য। সুন্দর চুল চেহারার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে। চুল পড়া আমাদের সৌন্দর্যকে কমিয়ে দেয়।
চুল পড়ে গেলে আমার মনটাই ভেঙ্গে যায়–এ রকম কথা অনেকের মুখেই শোনা যায় বিশেষ করে যুবক যুবতী অর্থাৎ একটু কম বয়সে চুল পড়ে গেলে। সবাই চায় নিজেকে দেখতে যেনো কম বয়স লাগে এবং অন্যরা দেখে না বলে মাথায় চুল কম, বয়স বেশী।
আমাদের সমস্ত শরীরকে ঢেকে রেখেছে ত্বক। এই ত্বক শরীরের সবথেকে বড় অঙ্গ। ত্বকের একটি অংশ চুল।
চুল আসলে কী?
আমাদের চুল মূলত প্রোটিন এবং কেরাটিন দিয়ে গঠিত। চুল = প্রোটিন + কেরাটিন।
বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যেমনঃ পুষ্টির ঘাটতি, হরমোন ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েড সমস্যা, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, ভিটামিনের অভাব, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বা বাজার থেকে দামি প্রসাধনী কিনে প্রচুর টাকা নষ্ট না করে।
আসুন কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে বা দামে সস্তা ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করে চুল পড়া রোধ করতে পারি:
পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ
আমাদের চুল মূলত কেরাটিন ও এক ধরনের প্রোটিন দিয়ে গঠিত তাই নতুন চুল গজানোর জন্য অবশ্যই আমাদের শরীরকে পর্যাপ্ত প্রোটিন সরবরাহ করতে হবে। সাধারণতঃ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, সয়াবিন, শিমের বীজ, মটরশুঁটি প্রোটিনের উৎস। এসব খাবারে থাকা সালফার, ফসফরাস, সেলেনিয়াম ও সর্বোপরি প্রোটিন চুলের গজানো ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
নারিকেলের দুধ
নারকেলের দুধ ভিটামিন “ই “,প্রোটিন এবং চর্বি সমৃদ্ধ যা আপনার চুলকে moisturize এবং healthy রাখতে সহায়তা করে। নারকেলের দুধ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা চুল বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটা আপনার চুল ভাঙ্গন কমায় ও চুলকে শক্তিশালী করে তোলে।
গ্রীন টি
গ্রীন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ, যা চুল বৃদ্ধি এবং চুল ক্ষতি প্রতিরোধ সাহায্য করে।
বীট
বীটে পটাসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি 6, ম্যাঙ্গানিজ, এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা সব স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য অপরিহার্য ।
অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা চুল বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকর হোম প্রতিকার। চুলের পিএইচ মাত্রা ভারসাম্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মেথি
মেথি চুল চকচকে, শক্তিশালী, এবং দীর্ঘ করে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে পারে। এটি একটি উচ্চ সালফার সামগ্রীও রয়েছে যা চুল follicles থেকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং চুলের বৃদ্বিতে সাহায্য করে।
আমলকী
আমলা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আরেকটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপায়। আমলা চুল দ্রুত বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে এবং অকাল চুল পাকা প্রতিরোধ করে। আমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, চুলের বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি। এছাড়াও চুল বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক কোলাজেন নির্মাণ করতে সাহায্য করে।
আলু
আলুতে পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং আইরন রয়েছে, যা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
পরিশেষে, যোগব্যায়ামের কথা না বললেই নয়। পদ্মাসন, বজ্রাসন, শবাসন থেকে শুরু করে কিছু আসন ও প্রাণায়াম আমরা যদি প্রতিদিন করি।
তাহলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের গোড়ায় সুন্দর ভাবে পৌঁছে যাবে চুলের খাবার।