কিছু দুগ্ধজাত খাবার যাতে প্রাকৃতিকভাবে ল্যাকটোজ কম।
ল্যাকটোজ জাতীয় খাবার সবার শরীরে সহ্য হয় না। এমন লোকেদের দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। তবে সব ধরণের দুগ্ধজাত খাবারে ল্যাকটোজ বেশি থাকে না।
ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা হল সাধারণ হজম সমস্যা। যেমন: বমি বমি ভাব, ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া। এই উপসর্গগুলি দেখে ভয়ে অনেকেই ল্যাকটোজযুক্ত খাবার যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলে।
এজন্য যাদের দুধে সমস্যা তাদের জন্য নিচে কিছু দুগ্ধজাত পণ্য দেওয়া হলো যেগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে ল্যাকটোজ কম।
কিছু দুগ্ধজাত খাবার যাতে প্রাকৃতিকভাবে ল্যাকটোজ কম
যেসব দুগ্ধজাত খাবারে প্রাকৃতিকভাবে ল্যাকটোজ কম থাকে তা নিচে আলোচনা করা হল:
মাখন:
মাখন একটি উচ্চ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য। এতে প্রায় ৮০% ফ্যাট থাকে যাতে ল্যাকটোজ থাকে।
১০০ গ্রাম মাখনে ১ গ্রাম ল্যাকটোজ থাকে। গাঁজানো দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে তৈরি মাখন এবং পরিষ্কার করা মাখনে কম ল্যাকটোজ থাকে।
পনির:
পনির তৈরি করা হয় দুধের ব্যাকটেরিয়া থেকে। পনিরের ব্যাকটেরিয়া কিছু ল্যাকটোজ ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয় এবং এর উপাদান কমিয়ে দেয়।
শক্ত পনিরে ল্যাকটোজ খুব কম থাকে। ভেড়ার দুধে গরুর দুধের থেকে ল্যাকটোজ কম থাকে।
প্রোবায়োটিক দই:
যাদের ল্যাকটোজ সহ্য হয় না তারা দুধের চেয়ে দইকে হজম করা সহজ বলে মনে করেন। কারণ দইতে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ল্যাকটোজ ভাঙ্গাতে সাহায্য করতে পারে।
ল্যাকটোজ-মুক্ত প্রোটিন পাউডার:
যারা ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারে না তাদের জন্য প্রোটিন পাউডার নির্বাচন করা কিছুটা কঠিন হতে পারে।
ল্যাকটোজ সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য ভাল পছন্দ হল হুই আইসোলেট, যাতে ল্যাকটোজের কম থাকে।