আমন্ড (Almond) এর স্বাস্থ্য উপকারীতা।
পুষ্টিগুণ ও শারীরিক উপকারীতার দিক থেকে আমন্ড (কাঠবাদাম)-এর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
এই বাদামটির শরীরে এতো পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যে, চিকিৎসকেরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডাকেন।
শুধু তাই নয় আকার ও আকৃতিতে একেবারে ঔষধ কোম্পানি থেকে প্রস্তুতকৃত ট্যাবলেটের মতই।
মারণ রোগটি যদি আগুন হয় তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো পানি। মারণ রোগটি যদি সাপ হয় তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো বেজি। এই বাদামটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
এছাড়া সুস্বাদু, পুষ্টিকর এই বাদামটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এগুলো দেহের জন্য খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয় উপাদান।
আমন্ড এর পুষ্টিগুণ
almond এ অনেক পুষ্টি উপাদান আছে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দেওয়া হলো –
- ফাইবার:৩.৫গ্রাম
- প্রোটিন:৬গ্রাম
- ফ্যাট:১৪গ্রাম
- ভিটামিন “ই”:৩৭%(RDI)
- ম্যাগনেশিয়াম:২০%(RDI)
আমন্ড(Almond) উপকারীতা
Almond পুষ্টিকর এবং সুস্থ্য চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি বাদাম। নিচে বাদামের কয়েকটি উপকারীতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –
ক্যান্সাররোগ দূরে রাখে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধে সহায়তা করে, যা আপনার কোষের অণুগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যা ক্যান্সাররের মতো রোগকে প্রতিহত করতে পারে।
এর যে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তা বেশীর ভাগই almond এর বাদামী স্কীন থেকে পাওয়া যায়। এই কারণে, almond এর বাদামী স্কিনটা ফেলে না দিয়ে খাওয়া ভালো।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে:
আমন্ড বা কাঠ বাদাম নিয়মিত আলমন্ড খেলে উচ্চমাত্রার HDL বা ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় এবং LDL বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
ত্বকের ও চুলের যত্নে:
মুখের ব্রণ, ত্বকের দাগ, ব্ল্যাকহেডস কমিয়ে ত্বককে মসৃণ করে। এছাড়া চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল কমাতেও কাঠ বাদামের তেল সাহায্য করে।
almond অয়েল এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “ই” থাকে যা চুলের গোড়া শক্ত করে, নতুন চুল গজাতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।
ডায়বেটিস নিয়িন্ত্রিনে রাখে:
ম্যাগনেসিয়াম রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণ সহ আরও ৩০০ শারীরিক প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত একটি খনিজ।
মজার বেপার হলো যে, যাদের টাইপ 2 ডায়াবেটিস আছে তাদের মধ্যে ২৫-৩৮% মানুষেরই ম্যাগনেসিয়ামের অভাব আছে।
এই ম্যাগনেসিয়ামের অভাব পূরণ হলে ব্লাড সুগারের পরিমান কমে যাবে এবং ইনসুলিন ফাংশন ভালো হবে।
কাঠ বাদামের মতো উচ্চ-ম্যাগনেসিয়াম খাবার টাইপ 2 ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
এছাড়াও বিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মান নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
উচ্চ রক্তচাপ যেহেতু হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে বাড়ায় তাই নিয়ম করে কাঠ বাদাম খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে ও হার্টের রোগের সম্ভাবনা কমবে।
হাড়ের জন্য ভালো:
এই উপাদানগুলো হাড় তৈরি ও অস্থি রক্ষায় এবং দাঁত সুস্থ্য ও সুদৃঢ় রাখতে অতি আবশ্যক। এগুলোর ঘাটতি হলে অস্টিওপোরোসিস এবং দূর্বল হয়ে পড়ে।
অপরদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলমন্ড খেলে হাড়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমায়:
পেট ভরিয়ে রাখা এই গুনের কারনে ওজন কমাতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।
এছাড়াও আমন্ডে(almond) থাকা ভিটামিন “ই” এবং পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে সুস্থ্য রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এজন্য প্রতিদিন সকাল বেলা ১-২আমন্ড খাওয়ার অভ্যাস ভালো।