ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে যেসব ভিটামিন।
অনেক সময় আমাদের ত্বকে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। বার্ধক্য, ঋতু পরিবর্তন, ডিহাইড্রেশন, অ্যালার্জি এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি সহ বিভিন্ন কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে।
আমাদের জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন করে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি, যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা এবং কিছু পরিপূরক গ্রহণ, আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন
শুষ্ক ত্বকের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল:-
ভিটামিন “ডি”:
ভিটামিন “ডি” হল চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন যা ত্বকের স্বাস্থ্য সহ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেরাটিনোসাইট হল ত্বকের কোষ যা ত্বকের বাইরের স্তরের বেশিরভাগ অংশ তৈরি করে থাকে, এটি এপিডার্মিস নামে পরিচিত।
কেরাটিনোসাইটস শরীরের একমাত্র কোষ যা ভিটামিন “ডি” তৈরি করতে পারে। ভিটামিন “ডি” ত্বকের কোষ বৃদ্ধিতে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে।
সেইসাথে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন “ডি” ত্বকের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ উন্নতি করতে সাহায্য করে যেমন: শুষ্ক ত্বক, চুলকানি, একজিমা।
কোলাজেন:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে কোলাজেন গ্রহণের ফলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরণের উপকার হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে বলিরেখার গভীরতা হ্রাস এবং ত্বকের হাইড্রেশন বৃদ্ধি।
যারা প্রতিদিন কোলাজেন গ্রহণ করেন তাদের ত্বকের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়ে থাকে এবং ত্বকের হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়। কোলাজেন পেপটাইডের সাথে ভিটামিন “সি” এবং জিঙ্কের মতো অন্যান্য উপাদান থাকার ফলে ত্বকের রুক্ষতা হ্রাস পায়।
ভিটামিন “সি”:
ভিটামিন “সি” ত্বক রক্ষাকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং এটি কোলাজেন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি পুষ্টি তৈরি করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন “সি” ত্বকের হাইড্রেশন সহ ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে। আরো কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন “সি” ত্বকের ক্ষতি কমাতে পারে, যা শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন “সি” ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
মাছের তেল:
মাছের তেল ত্বকের জন্য উপকারী। মাছের তেলে ডকোসাহেক্সায়েনোয়িক অ্যাসিড (DHA) এবং ইকোসাপেন্টাইনয়িক অ্যাসিড (EPA) রয়েছে, এই ফ্যাটি অ্যাসিড গুলো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার নিরাময় করতে সাহায্য করে।
এই তেল ত্বকের হাইড্রেশন বাড়াতে পারে, যা ত্বকের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ফিশ অয়েল ২ মাস ব্যবহার করার পর ত্বকের হাইড্রেশন ৩০% বৃদ্ধি পায়।
মাছের তেল ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং সূর্যের আলোর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।