চুলকানি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়।

জীবনে একবারও ত্বকে চুলকানি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। খুব সাধারণ এই ব্যাপারটি অসহ্যকর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যখন ত্বকের চুলকানি বেড়ে যায়। হাত-পায়ে বার বার চুলকাতে থাকে। সংবেদনশালী বা ফর্সা ত্বক যাদের তারা চুলকাতে চুলকাতে লাল করে ফেলে।

এই চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা অনেকেই অনেক ধরণের মলম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না মলম ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আমরা যদি কিছু ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের চুলকানি দূর করতে পারি তা যেমন নিরাপদ তেমনি অনেক বেশি কার্যকরী হবে।

জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের চুলকানি দূর করার কিছু উপায়

নারকেল তেল:

চুলকানির সবচেয়ে সেরা ঘরোয়া চিকিৎসাটি হয়তো আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। ত্বকের চুলকানির জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পণ্য নারকেল তেল। যে কোন প্রকার চুলকানি, পোকার কামড় বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে চুলকানো স্থানে নারকেল তেল দিয়ে দিন। যদি সম্পূর্ণ শরীরে চুলকানি হয় তবে সম্পূর্ণ শরীরে নারকেল তেল লাগাতে পারেন।

লেবু:

লেবুর রসে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। চুলকানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূতি হচ্ছে সে স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে রাখুন। লেবুর রস শুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে দেখবেন চুলকানি অনেকটা কমে গেছে।

 নিম পাতা:

চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতা পিষে বা বেঁটে আক্রান্ত স্থানে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েক বার লাগালে চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিম পাতা একটি প্রাকৃতিক উপায়।

পেট্রোলিয়াম জেলি:

যদি আপনি সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারী হন তবে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শরীরের কোন স্থানে চুলকানি হলে পেট্রোলিয়াম জেলি আক্রান্ত স্থানে ভালো করে লাগিয়ে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখবেন চুলকানি অনেকটা কমে গেছে। এটি সবার ঘরেই থাকে, তাই আপনি এটি যেকোন সময়ই ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা:

অ্যালোভেরা হলো একটি প্রদাহরোধী ওষুধ, এটি ত্বকের অস্বস্তিকর চুলকানির জন্য এটি কার্যকর চিকিৎসা। চুলকানি প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অ্যালোভেরা থেকে তাজা জেল বের করে চুলকানির স্থানে ভালো করে লাগিয়ে দিন। চুলকানি দ্রুত কমে যাবে।

বেকিং সোডা:

চুলকানি প্রতিরোধে বেকিং সোডা অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গোসলের সময় হালকা কুসুম গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করলে শরীরের চুলকানি অনেকটাই কমে যায়। অথবা পানি এবং বেকিং সোডা দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। তারপর চুলকানির জায়গায় ভালো করে এই পেষ্ট লাগান। দেখবেন চুলকানি অনেক কমে গেছে।

রেফারেন্স: