পা ফাটা কিভাবে দূর করা যায় প্রাকৃতিক উপায়ে?

শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ পা ফাটা সমস্যার সন্মুখীন হয়ে থাকেন। পায়ের গোঁড়ালি শীতকালে বেশি ফেঁটে যাই কারণ এই সময় আমাদের ত্বক বেশি শুস্ক হয়ে পড়ে। ঠোঁটের মত পায়ের পাতাতেও কোনো তৈলগ্রন্থি থাকে না।

ফাটা স্থানে গভীর ক্ষত হয়ে প্রচন্ড ব্যাথা হয় যার ফলে হাঁটা এবং দাঁড়িয়ে থাকা যন্ত্রণাদায়ক ও অসহনীয় হয়ে পড়ে। এছাড়া যদি এই ফাকা জায়গা দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করে তাহলে ইনফেকশনের কারণ হতে পারে। তাই গুরুতর সমস্যা হওয়ার আগে আমাদের আগেভাগেই পায়ের যত্ন নিতে হবে।

সারাবছর ধরে অনেকের পা ফাটার সমস্যা দেখা যায়। পায়ের গোঁড়ালি সবসময় একটু বেশী শুস্ক থাকে। পা ফেঁটে গভীর ক্ষত হয়ে ব্যাথা হয় এবং রক্ত, মাংস পর্যন্ত দেখা যায়। বাজারে অনেক রকমের ক্রিম পাওয়া যায় পা ফাটা রোধের কিন্তু এগুলোতে অনেক ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে।

অতএব, আমাদের এই পা দুটিকে সুন্দর, কোমল এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে এর প্রতি যত্নবান হতে হবে। প্রাকৃতিক দামে সস্তা, সহজলভ্য কিছু উপাদান ব্যবহার করে মাত্র এক সপ্তাহে পা ফাটা সম্পূর্ণরুপে দূর করতে পারি।

আসুন জেনে নিই, কীভাবে ঘরোয়াভাবে প্রাকৃতিক উপাদানের দ্বারা বাড়িতে তৈরীকৃত ক্রিম ও ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে পা ফাটা সম্পূর্ণরূপে দূর করা যায়।

তার আগে জেনে নেই কেন পা ফাটে ?

  • ডায়াবেটিস,একজিমা,থাইরয়েড -এর সমস্যা থাকলে।
  • ভিটামিন “ই”,ক্যালসিয়াম এবং আইরন-এর ঘাটতি থাকলে।
  • বয়সবৃদ্ধি হলে।
  • পলিউশন বেশি হলে অর্থাৎ ধুলোময়লার কারণে।
  • নিয়মিত যত্ন না নিলে অর্থাৎ moisturizer ব্যবহার না করলে।

ঘরোয়াভাবে পা ফাটা দূর করার পদ্ধতি

ঘরোয়া পদ্ধতিটাকে আমরা তিনটি ধাপে ভাগ করতে পারি।

প্রথম ধাপ

প্রথম ধাপে আমাদের পা দুটোকে একটু নরম করে নিতে হবে অর্থাৎ পায়ের পাতার চামড়া মোটা হওয়ার কারণে এবং মরা কোষ জমে শক্ত হওয়ার জন্য পায়ের পাতা দুটোকে সহনীয় গরম পানিতে ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

এই হালকা গরম পানিতে সাধ্যমতো কিছু উপাদান যেমনঃ খাবার লবন,বেকিং সোডা,লেবুর রস,নারকেল অথবা সরিষার তেল মিশিয়ে নিতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ

দ্বিতীয় ধাপে পা দুটোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর জন্য আপনি মাটির বা স্টিলের তৈরী callus রিমুভার বা dirt remover নামে পরিচিত পেডিকিউর কিট ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া নারকেল তেল বা সর্ষের তেল এর সাথে চিনি এবং চালের গুঁড়া মিশিয়ে আলতোভাবে পায়ে ঘষলে পা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

তৃতীয় ধাপ

তৃতীয় ধাপে অর্থাৎ পরিশেষে, মোমবাতি গুঁড়া করে নারকেল তেল বা সরষের তেলের সাথে মিশিয়ে গরম করে স্বাভাবিক তাপমাত্রা অর্থাৎ রুম টেম্পারেচার -এ এনে ঘন পেস্টটিকে গোড়ালির ফাটা স্থানে লাগাতে হবে।

ভ্যাসলিন,লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলও লাগাতে পারেন। কোলগেট ম্যাক্সফ্রেশ টুথপেষ্ট ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে মিশিয়েও লাগাতে পারেন। এগুলির যেকোনো একটি পন্থা অনুসরণ করে মোজা পরে রাতে ঘুমাতে যাবেন।

Leave a Reply