তিত বেগুন কৃমি সারাতে ও রক্তাল্পতা রোধ করতে কার্যকরী।
এমন প্রমান আমরা আগে আরো পেয়েছি যে অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠা জিনিস গুলাই বেশি উপকারী।
ঠিক তেমনি তিত বেগুন অবহেলায় ও অযত্নে আনাচে কানাচে রাস্তার পাশে বেরে ওঠে। তিত বেগুন যার নাম শুনেই ছোট বেলার খেলার কথা মনে পড়ে যায়।
তখন বাগানে বেগুনের মতো দেখতে ছোট এক ধরণের কী একটা পাওয়া যেত। এগুলো দিয়ে আমারা তখন খেলা করতাম। কিন্তু জানতাম না এগুলোকে তিত বেগুন বলে।
এটি খেতে তিতো স্বাদের ও হুবুহু বেগুনের মতো দেখতে কিন্তু আকারে অনেক ছোট তাই নাকি এর নাম হয়েছে তিত বেগুন।
অনেক জায়গায় আবার তিত বেগুন কাকমাচি হিসেবেও পরিচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে। সবজি হিসেবে তিত বেগুন রান্না করে খাওয়া যায়।
এটি একটি ভেষজ প্রতিকার যা বিভিন্ন প্রাচীন লোক ঔষধ অনুশীলনে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি বিশ্বজুড়ে খুব সাধারণ, অনেকে এর সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সুরক্ষা সম্পর্কে জানেনও না।
তিত বেগুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা
উচ্চ রক্তচাপ, হজম সমস্যা, ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ এবং আরও অনেক কিছু সহ অসংখ্য শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিত বেগুন ভেষজ প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নিচে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো –
রক্তাল্পতা রোধ করে:
স্বল্প আয়রন বিশ্বব্যাপী অন্যতম পুষ্টির ঘাটতি। আয়রনের ঘাটতি হলে দেখা দেয় রক্তাল্পতা।
তিত বেগুন আয়রনের একটি ভালো উৎস। এটি আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রায় ৫০% প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে, যা হার্টের রোগ এবং স্ট্রোকের জন্য একটি বড় ঝুঁকির কারণ।
প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তিত বেগুন রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায় হিসাবে কাজ করে।
এতে বিভিন্ন ধরণের অনন্য যৌগিক, যেমন গ্যালিক অ্যাসিড এবং ফেরুলিক অ্যাসিড থাকে, যা টেস্ট-টিউব স্টাডিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, তিত বেগুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একাধিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস এর বিরুদ্ধে তিত বেগুন কার্যকর হতে পারে।
এতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে।
কৃমি সারাতে:
যাদের কৃমির সমস্যা আছে তারা যদি এর পাতা, ফুল, ডাটা রস করে ৭ দিন খেতে পারেন তাহলে কৃমি থেকে রেহায় পাবেন।
সতর্কতা
যা কিছু খাবেন পরিমাণমতো খাবেন। আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে খাবেন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নোই।
আপনি যদি কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হন বা নিয়মিত কোনো চিকিৎসকের তত্বাবধানে থেকে কোনো ওষুধ গ্রহণ করলে খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
রেফারেন্স: