গর্ভবতী মায়েদের ডিম খাওয়া খুবই জরুরি।

একজন গর্ভবতী মা গর্ভকালীন সময়ে যে সকল খাবার গ্রহণ করে থাকে সেটাই তার গর্ভের শিশুর বেড়ে ওঠার একমাত্র রসদ।

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা খুবই চিন্তা ভাবনা করে প্রতিটা খাবার খেয়ে থাকেন। খুব যত্ন সহকারে চিন্তা করেন কোন খাবারটা তার গর্ভের বাচ্চার জন্য ভাল।

কোনো বাড়িতে গর্ভবতী মহিলা থাকলে প্রথমে প্রয়োজন গর্ভের বাচ্চার গঠন ও উন্নতির জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিকর ও শক্তি প্রদানকারী খাবার নিশ্চিত করা।

এই সময়ে শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ও বিকাশের জন্য প্রোটিন, আয়রন এবং কোলিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখা জরুরী।

সুতরাং আপনার ডায়েটে বেশ কয়েকটি সুপারফুড রাখা উচিত। ডিম সুপারফুডের মধ্যে একটি।

ডিম প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, আয়রন, ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যারোটিনয়েড দ্বারা পরিপূর্ণ।

গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১ টি করে ডিম খাওয়া খুবই জরুরী। কারণ, ডিমের পুষ্টিউপাদান গর্ভাবস্থায় শিশুর স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গৰ্ভাৱস্থায় ডিম খাওয়ার উপকারিতা

শিশুর বিকাশের জন্য:

ডিমে থাকা ভিটামিন বি-12 এবং কোলিন শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়তা করে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর মস্তিষ্কের বিকাশেও অবদান রাখে।

ডিম প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। প্রোটিন ত্বক, চুল, পেশী এবং হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

তাই আপনার বাচ্চাকে স্বাভাবিকভাবে বিকাশে সহায়তা করার জন্য আপনার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।

গর্ভবতী মহিলাদের ৪০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। একটি ডিমের মধ্যে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে:

ডিম বেশিরভাগ ফ্যাট এবং প্রোটিনযুক্ত এবং এতে খুব কম কার্বোহাইড্রেট থাকে।

প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

ভিটামিন “ডি” এর উৎস:

কিছু ডিম ভিটামিন “ডি” এর একটি ভাল উৎস। ভিটামিন “ডি” শিশুর হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

রিসার্চট্রাস্টড উৎস প্রমাণ করেছে যে দেশি মুরগির ডিমে ভিটামিন “ডি” বেশি থাকে। মনে রাখবেন ডিমের কুসুমে ভিটামিন “ডি” থাকে, তাই পুরো ডিম খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ওজন কমায়:

ডিম গর্ভাবস্থায় ওজন পরিচালনায় সহায়তা করে। ওজন কমানোর পাশাপাশি শক্তিশালী পেশী গঠনে সহায়তা করে।

এছাড়া ডিমে প্রচুর আয়রন রয়েছে। তাই ডিম গর্ভবতী মহিলাদের বাড়তি আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া উচিত নয়। অনেকের ডিমে এলার্জি থাকে। বিশেষ করে হাঁসের ডিমে।

হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম খাবেন এই নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। মুরগীর ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমে প্রোটিন এবং চর্বির মাত্রা সামান্য বেশি।

রেফারেন্স: