ক্যাপসিকাম চোখের জন্য ভালো, ব্যথা কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই ক্যাপসিকাম বা (মিষ্টি মরিচ) চাষ করা হয়। এর আরেক নাম বেল পিপার। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ক্যাপসিকাম।
তাই দেশীয় অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ক্যাপসিকাম চাষও বাড়ছে আমাদের দেশে। পুষ্টিগুণ বিচারে ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচের জুড়ি নেই।
এই মরিচ গুলো সবই মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয়। ক্যাপসিকাম কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। ক্যাপসিকাম বিভিন্ন রঙের হয় যেমন লাল, হলুদ, কমলা এবং সবুজ।
তবে সবুজ ক্যাপসিকাম কিছুটা তেতো স্বাদ থাকে। ক্যাপসিকাম সাধারণত তরকারিতে, সালাদে এবং পিজ্জা বা চিজ স্টিকের টপিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
ক্যাপসিকাম বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যেমন ক্যারোটিনয়েড। ক্যারোটিনয়েড পাকা ক্যাপসিকামে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। লাল ক্যাপসিকামে উচ্চ পরিমানে ক্যাপসানথিন থাকে যা তাদের উজ্জ্বল লাল রঙের জন্য দায়ী।
ক্যাপসিকামের পুষ্টি উপাদান
নিচে ক্যাপসিকামের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান দেওয়া হলো –
- ক্যালোরি:৩১
- পানি: ৯২%
- প্রোটিন:১ গ্রাম
- কার্বস:৬ গ্রাম
- চিনি: ৪.২ গ্রাম
- ফাইবার: ২.১ গ্রাম
- ভিটামিন “সি”: ১৬৯%
ক্যাপসিকামের স্বাস্থ্য উপকারিতা
নিচে ক্যাপসিকামের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
লুটেইন এবং জেক্সানথিন ক্যাপসিকামে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় যা চোখের জন্য ভালো।
এছাড়াও ক্যারোটিনয়েড যুক্ত খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণের ফলে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। ক্যাপসিকাম ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ।
বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, এই ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়ার ফলে চোখের ছানি এবং ম্যাকুলার অবক্ষয় উভয়ই হ্রাস পেয়েছে। সুতরাং, ডায়েটে ক্যাপসিকাম থাকা মানে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকা।
আয়রনের শোষণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করে:
রক্তাল্পতা একটি সাধারণ পরিস্থিতি যা রক্তের অক্সিজেন সরবারহ করার ক্ষমতাকে হ্রাস করে। রক্তাল্পতার অন্যতম সাধারণ কারণ হল আয়রনের ঘাটতি।
লাল ক্যাপসিকাম আয়রনের একটি ভালো উৎস। এতে ভিটামিন “সি” পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে। ভিটামিন “সি” যুক্ত খাবার যেমন ফল বা শাকসবজী বেশি পরিমাণে গ্রহণ করেন তখন আয়রনের শোষণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়।
ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়:
ক্যাপসিকাম যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
ক্যাপসিকামে ভিটামিন “সি” এর পরিমাণ বেশি। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে, যার ফলে ছোটোখাটো নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
মস্তিষ্কের টিস্যুকে পুনরুজ্জীবিত করে:
ক্যাপসিকামে থাকা ভিটামিন “সি” মস্তিষ্কের টিস্যুকে পুনরুজ্জীবিত করে। দেহের হাড়কে সুগঠিত করে। এটি বার্ধক্যজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।