চোখ উঠলে আমাদের কী করতে হবে।
“চোখ ওঠা” হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। সাধারণত “চোখ ওঠা” বলতে চোখ লাল হওয়া কে বোঝায়। কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র।
ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জির কারণেও চোখ লাল হয়। যদিও ভাইরাসে আক্রান্ত চোখ কিছুদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় কিন্তু অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে আশপাশের অনেককেই আক্রান্ত করতে পারে।
বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে। যেমন-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, এডিনো ভাইরাসজনিত কারণে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশনজনিত কারণে, ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনজনিত কারণ ইত্যাদি।
তবে ভাইরাস কেরাটাইটিস বা হারপেম সিমপেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশনই মুলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়ে থাকে।
“চোখ ওঠা” রোগের লক্ষণ
নিচে এর কয়েকটি লক্ষণ দেওয়া হলো —
- চোখে লাল হয়ে যায়।
- চোখের পাতা ফুলে যায়।
- চোখে যন্ত্রনা হয়।
- রোদে বা আলোতে তাকাতে কষ্ট হয়।
- চোখ থেকে অতিমাত্রায় পানি পড়ে।
- চোখে সামান্য ব্যথা হয়।
চোখ ওঠার ৭-৮দিনের মধ্যে উপরের লক্ষণ গুলো কমতে শুরু করে।
এটি কীভাবে ছড়ায়
“চোখ ওঠা” অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে একটি রোগ। সাধারণত চোখ উঠলে আমরা চোখে বারবার হাত দিয়ে থাকি। এছাড়া চোখের পানির সাথে ভাইরাস বেড়িয়ে আসে এবং পানি মোছার সময় জীবাণু আমাদের হাতে চলে আসে।
এরপর সেই হাত দিয়ে আমরা যা কিছুই স্পর্শ করি সেখানে ভাইরাস চলে যায়। যেমনঃ টাওয়াল বা গামছা, টিভির রিমোট, বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, মোবাইল ইত্যাদি মাধ্যমে রোগের জীবাণু ছড়িয়ে যায়।
“চোখ ওঠা” ব্যাক্তির করণীয়
বেশি ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় রোগীকে এ ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তা হলো —–
- চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য নিদির্ষ্ট ছোট একটি নরম কাপড় বা টাওয়াল ব্যবহার করতে হবে।
- ঘুম থেকে উঠে চোখের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে যাতে ময়লা লেগে না থাকে।
- ডাক্তারের পরামর্শ মতো চোখে ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
- এই সময় চোখে কোনো রকম মেকআপ করা যাবে না।
- যেহেতু এটা খুব ছোঁয়াচে রোগ সেহেতু পরিবারের বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
- বাইরে বেরলেই সানগ্লাস পরে বের হতে হবে। যাতে ধুলাবালি না লাগে।
- এই সময় টিভি না দেখা ভালো।
- ব্যাবহারিত জিনিস পত্র আলাদা রাখা।
- চোখে হাত দেওয়ার পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত দুয়ে ফেলা।