ডিপথেরিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার।

ডিপথেরিয়া একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যা নাক, গলা, গলার মিউকাস মেমব্রেনকে ও কখনও কখনও ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে।

এই রোগটি খুব সহজেই একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায়, তবে ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণের মাধ্যমে ডিপথেরিয়া প্রতিরোধ করা যায়।

ডিপথেরিয়া ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। কিন্তু ডিপথেরিয়ার শুরু থেকে চিকিৎসা না করা হলে, ডিপথেরিয়া হার্ট, কিডনি এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। তাই শরীরে ডিপথেরিয়ার লক্ষণগুলি দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডিপথেরিয়ার রোগের কারণসমূহ

Corynebacterium diphtheriae নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডিপথেরিয়া সৃষ্টি করে। এই রোগটি ব্যবহৃত জিনিস পত্র এর মাধ্যমে ছড়ায়। এমনকি সংক্রামিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমেও ডিপথেরিয়া ছড়াতে পারে।

  • যখন একজন সংক্রামিত ব্যক্তির দূষিত হাঁচি বা কাশির ফোঁটাগুলি বাতাসে মিশে যায়, তখন কাছের মানুষ সেই দূষিত বাতাস গ্রহণ করলে তার ডিপথেরিয়া হয়। ডিপথেরিয়া সহজেই এইভাবে ছড়ায়।
  • সংক্রামিত ব্যক্তির জিনিস, যেমন ব্যবহৃত টিস্যু, তোয়ালে, ব্রাশ, জামা-কাপড়, সাবান ইত্যাদি ব্যবহার করলে অন্য ব্যাক্তির ডিপথেরিয়া হতে পারে।

ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ:

ডিপথেরিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত একজন ব্যক্তির সংক্রামিত হওয়ার ২-৫ দিন পরে শুরু হয় এবং এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

  • গলায় একটি পুরু ধূসর-সাদা আবরণ দেখাবে।
  • গলা ব্যথা এবং গলায় অস্বস্তি লাগবে।
  • আপনার গলার গ্রন্থি ফোলাভাব দেখাবে।
  • শ্বাস নিতে অসুবিধা লাগবে।
  • খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া।
  • প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া।
  • মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া।
  • কাশি হওয়া।
  • নাক অপরিষ্কার বা অস্বস্তি লাগবে।
  • উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর হবে
  • শরীর দূর্বল, ক্লান্তি লাগবে।
  • ত্বকে হলে – পায়ে এবং হাতে ক্ষত হলে পুঁজ-ভরা ফোস্কা লাল, কালশিটে চেহারার চামড়া দিয়ে ঘেরা বড় ঘা।

ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকার:

অ্যান্টিবায়োটিক এবং ভ্যাকসিন ব্যবহার করে ডিপথেরিয়া প্রতিরোধযোগ্য। আমাদের একটু সচেতনাতার ফলেই সম্ভব ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকার করা। ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকারগুলি হলো:

  • সঠিক সময়ে টিকা গ্রহণ করাতে হবে। ডিপথেরিয়ার টিকাকে বলে DTaP। এই টিকাটি চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে দিতে হবে।
  • স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন খাবার খেতে হবে এবং বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।