হাসি খুশি থাকার স্বাস্থ্য উপকারিতা।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হাসি খুশি থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জীবনে ভালো থাকতে হলে হাসিখুশি থাকার চেয়ে সহজ উপায় আর হয়না। আমরা সবাই চাই ভালো থাকতে। সবসময় হাসিখুশি থাকি।

আর এই ভালো থাকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাসি খুশি থাকা। যিনি যতটা হাসিখুশি দিন শেষে তিনি ততটাই সুখী। হাসি খুশি থাকলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমিয়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।

সুস্থ্য ও সুখী মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করতে চাইলে হাসিখুশি থাকার বিকল্প নেই।

হাসি খুশি থাকার স্বাস্থ্য উপকারিতা

হাসি খুশি থাকার যত উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো:

 মানসিক অবসাদ কমে:

হাসি খুশি থাকলে আমাদের মানসিক সাস্থ্যের উন্নতি ঘঠে। সারাদিন হাসি মুখে থাকলে শরীরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। যে কারণে মানসিক অবসাদ, অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। হাসি খুশি থাকার কারনে আমরা মানসিক ভাবে শক্তিশালি হয়ে উঠতে পারি।

দেহের রোগ প্রতিরোধ করে:

হাসি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হাস্যরস রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিবডি তৈরি করে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। হাসলে দেহের রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায় এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ করতে হাসি খুশি থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

 রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:

উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়েই যাচ্ছে। তাই যতটা সম্ভব হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করা উচিত। একটি গবেষণায় দেখা গেছে সারা দিন হাসিখুশি থাকলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

সম্পর্ক সুন্দর রাখতে:

হাসি মানুষকে একে অপরকে কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে। হাসি আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে। হাসি মনের সব দুশ্চিন্তা দূর করে ও অপরের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলুন।

 ক্যান্সার প্রতিরোধে করে:

হাসি আমাদের অনেক জটিল রোগের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। হাসি দেহকে ক্যান্সারের মতো রোগ থেকেও বাঁচাতে পারে। হাসি দেহের “টি-লিস্ফোরসাইট” ক্যান্সার প্রতিরোধী কোষকে সচল রাখে। তাই ক্যান্সার রোগীদের হাসানোর জন্য বিশেষ থেরাপি দেওয়া হয় যা রোগীর দেহের ব্যথা দূর করে ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

 সামাজিক যোগাযোগ উন্নত করে:

মানুষ সামাজিক পরিস্থিতির উপর সচেতন থাকে। হাসি মানুষের জীবন যাপনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ব্যাক্তি ও দলের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে হাসি খুশি থাকলে কর্মদক্ষতা ও আকর্ষণের বৃদ্ধি পায়।

আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা:

হাসি খুশি থাকার মাধ্যমে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে। যে কোনো কাজ সহযেই করতে পারে। হাসি খুশি থাকার কারনে সবার মন ভালো থাকে তাই কোনো কিছুতে বিরক্ত বোধ হয় না। এবং মনের দিক দিয়ে আত্মবিশ্বাসী ও শক্তিশালী হয়ে থাকে। তাই আমাদের হাসি খুশি থাকাটা খুব জরুরী।

হাসি খুশি থাকার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবন অনেক সুন্দর করে তুলতে পারি। তাই আমরা সবসময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করবো।