যে খারাপ অভ্যাসগুলি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক সহ অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোলেস্টেরল উৎপাদন এত গুরুত্বপূর্ণ যে লিভার এবং অন্ত্রগুলি সুস্থ্য থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল প্রায় ৮০% তৈরী করে এবং বাকি ২০% আসে খাবার থেকে।

“খারাপ” এবং “ভাল” কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড যা আমাদের দেহের একটি সাধারণ ফ্যাট।

কিছু কিছু অভ্যাস যেমন নিয়মিত ব্যয়াম করা, চর্বিযুক্ত খাবার কম খেয়ে শাক সবজি বেশি খাওয়া ইত্যাদি কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

ঠিক তেমনি কিছু কিছু খাবার ও অভ্যাস আছে যেগুলো রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর প্রভাব ফেলে।

নিচে এমন কিছু অভ্যাস ও খাবার দেওয়া হলো যেগুলো রক্তের কোলেস্টেরলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে –

কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা হয় না:

খারাপ কোলেস্টেরল সাধারণত কোনও লক্ষণ সৃষ্টি করে না, তাই তাদের পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় না।

২০ বছর বয়সের পরে ডাক্তার কোলেস্টেরল আছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর পরে একটি করে রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন।

ব্যয়াম না করা:

নিয়মিত ব্যয়াম আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের অন্যতম সেরা উপায়। কিন্তু দেখা যায় যে আমরা নিয়মিত ব্যয়াম করি না। বা অনেক সময় আজ করবো কাল করবো করতে থাকি।

প্রতিদিন নিয়ম করে ৪০ মিনিট হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো উচিত। সপ্তাহে ৩ বা ৪ বার নাচ করা উচিত।

বসে থাকা:

বেশিক্ষণ বসে থাকা স্থূলত্ব, হার্টের রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। বেশিক্ষণ বসে থাকা HDL “ভাল” কোলেস্টেরল কমায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায়।

আপনি নিজেকে সবসময় কাজের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখুন। যদি আপনার বসে থেকে কাজ করতে হয় তাহলে প্রতি ৩০ মিনিট পর পর উঠার চেষ্টা করুন।

ধুমপান করা:

ধুমপান আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সব থেকে ক্ষতিকর। এটি আপনার “ভাল” কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

তাই ধূমপান থেকে দূরে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।

অতিরিক্ত ওজন:

খুব বেশি ওজন বিশেষত আপনার পেটের চারপাশে, খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়াতে সহায়তা করে। তাই ওজন সব সময় ঠিক রাখতে বা স্বাস্থ্যকর রাখতে চেষ্টা করুন।

প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া:

তেলে ভাজা খাবার, পেস্ট্রি, পিজ্জা, ডোনাট, মাফিনস, কুকিজ, ক্র্যাকার এসব খাবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।

এসব তেল চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য, স্বল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধ, মাছ এবং বাদাম খান।

ফাইবার যুক্ত খাবার কম খাওয়া:

দুই ধরণের ফাইবার রয়েছে- দ্রবণীয়, যা পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং অ দ্রবণীয়। দুটোই আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তবে বিশেষত দ্রবণীয় ফাইবারগুলি LDL স্তর হ্রাস করতে সহায়তা করে।

সকালে এক বাটি ওটমিল দিয়ে বা ফল, বা শাক সবজি দিয়ে দিনটা শুরু করতে পারি।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন:

অতিরিক্ত অ্যালকোহল অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল সংখ্যার কারণ হতে পারে। বিশেষত, এটি রক্তে ফ্যাটগুলির স্তর বাড়িয়ে তুলতে পারে।

অ্যালকোহল দিনে ২ বারের বেশি পানীয় হওয়া উচিত নয়।

ওষুধ এড়িয়ে যাওয়া:

যে কোনও প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে ডাক্তারের নির্দেশ অনুসরণ করুন। যদি ওষুধ খেতে ভুলে যান তবে পরের বারের মতো আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ খেয়ে “মেক আপ” করার চেষ্টা করবেন না।

রেফারেন্স: