বাচ্চাদের হুটহাট জেদ এবং একরোখা স্বভাব কন্ট্রোল করার উপায়।
মোবাইল ফোনটা খুব জরুরী, কল করতে হবে! কিন্তু আপনার সন্তানের হাত থেকে কোনোভাবেই ফোনটা নিতে পারছেন না।
যতবার বুঝাচ্ছেন বা আদর করে বলছেন ততবার তার হুটহাট জেদ এবং একরোখা স্বভাব এর কাছে শেষমেশ আপনাকে হার মানতে হচ্ছে।
শুধু ফোনের ক্ষেত্রে নয়? বাচ্চারা অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে হুটহাট জেদ করে। কোন দোকানে গেলেন সেখানে গিয়ে কোন খেলনা দেখে বা কোন খাবার দেখে জেদ শুরু করে দিল।
সে যেটা চাচ্ছে সেটা তার তখনই লাগবে। যতক্ষণ তার আবদার পূরণ না হচ্ছে, ততক্ষণ চলতে থাকে এমন অবস্থা। এসময় বাবা-মা উভয়কেই পরতে হয় দারুণ অস্বস্তিকর পরিবেশে।
বাচ্চাদের হুটহাট জেদ এবং একরোখা স্বভাব কন্ট্রোল করতে বাবা-মাকে হিমশিম খেতে হয়।
তাই বাচ্চাকে শান্ত করতে, তার অহেতুক সব আবদার মেনে নেওয়াটাকেই ঠিক বলে মনে করে অনেক বাবা-মা।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, বাচ্চাদের হুটহাট জেদ এবং একরোখা স্বভাব সামলাতে করণীয় কী হতে পারে-
উত্তেজিত হওয়া যাবে না:
যখনই শিশুরা জেদ করা শুরু করবে তখনই আপনাকে খুব শান্ত থাকতে হবে।
যদি আপনার সন্তান যেটা বলছে সেটা আপনার পছন্দ না হয়। তাহলে চুপচাপ থাকতে হবে রেগে যাওয়া যাবে না।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাড়ির লোকেরা ওদের জেদ মেনে নিতে পারে না। আবার যেটা চাচ্ছে সেটা হুট করে দেওয়াও যাবে না।
নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন:
জেদ ধরলে শিশুকে কিছু খেলনা দিয়ে আলাদা করে বসিয়ে রাখুন। এই সময় নিজেরা শান্ত ও গম্ভীর থাকুন।
খুব প্রয়োজনভিত্তিক কথা ছাড়া কোনোভাবেই কোনো অতিরিক্ত কথা বলবেন না। মারধোর বা বকাবকি করাও একদম ঠিক নয় এসময়ে।
শিশুর ব্যবহারকে কোনোরকম গুরুত্ব দেবার চেষ্টাও করবেন না। অ্যাটেনশন না পেলে ও শান্ত হয়ে যাবে।
ইগনোর বা উপেক্ষা করুন:
প্রথমেই, বাবা অথবা মা হিসেবে আমাদের যে বিষয়টি নিজেদের আগে আয়ত্তে আনতে হবে সেটা হলো, সন্তানের অহেতুক বা অযথা আবদারগুলোকে ইগনোর করতে হবে।
বাচ্চাদের সেই মুহূর্তে মেইন উদেশ্য বাবা-মায়ের অ্যাটেনশন আদায় করা। সে তখন বিশ্বাস করে এভাবে রাগ, জেদ করলে বাবা-মা তার কথা শুনতে বাধ্য।
কমিউনিকেশন মেইনটেইন করুন:
আপনার বাচ্চা যখন একরোখা ব্যবহার করছে তখন তার পাশে থেকে তার সাথে আই কনট্যাক্ট না করলেও নূন্যতম কমিউনিকেশন মেইনটেইন করতে হবে।
যেমন- বাচ্চাটি আপনার কাছে আপনার মোবাইল চাচ্ছে, তার তখনই লাগবে।
সে সময় আপনি বলতে পারেন, “আমি বুঝতে পারছি তুমি এটা চাচ্ছো। একটু অপেক্ষা কর আমি তোমাকে এটি দিবো”।
ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করুন:
সাধারণত আমরা যে ভুলটা করি সেটা হলো, বাচ্চাদের হুটহাট জেদ দেখলে হুট করে ক্ষেপে গিয়ে, নিজেরাই রাগ করে সন্তানকে মারধোর শুরু করেন। এতে করে সন্তান ইমোশনাল ট্রমাতে চলে যায় অনেক সময়।
আবার কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চা আরও বেশি করে জেদ দেখাতে থাকে।
সে এক সময় আপনার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্যদের সাথেও রাগারাগি করতে পারে। আবার পরিবারের বাইরেও তার এফেক্ট পরতে পারে।