এক বছরের আগেই বাচ্চাকে বিস্কুট দিচ্ছেন। বিস্কুটের অপকারিতা জেনে নিন।

আপনার পিচ্চিকে প্রতিদিন বিস্কুট দিচ্ছেন তো? আর দিয়েন না। এখনই বন্ধ করুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে তাও আপনি বুঝতে পারছেন না। ও বুঝতে পারছি আপনি ওকে আরো সমস্যায় না ফেলে ক্ষান্ত হবেন না।

কেউ কেউ হয়তো বলবেন আমি তো বাচ্চাকে বিস্কুট দিয়ে থাকি। কোনো সমস্যাতো হচ্ছে নাতো।

বেশিরভাগ বিস্কুট এক কাপ চা বা কফির সাথে খাওয়া হয়। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কিলোজুল, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অতান্ত্য প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট রয়েছে কিন্তু ফাইবারের উপস্থিতি কম।

না জেনে হয়তো দুধে বা চা-তে ডুবিয়ে বছরের পর বছর ধরে একটানা বিস্কুট দিয়েছেন পুঁচকেকে। কিন্তু ক্ষতিকর দিক জানার পরেও কি একই কাজ করবেন? অন্তত ১ বছর অবধি প্যাকেটজাত এমন খাবার থেকে দূরে রাখুন বাচ্চাকে।

বিস্কুট খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?

পরিশোধিত ময়দা বা ময়দা আপনার জন্য খারাপ কারণ এটি শর্করা দ্রুত রক্ত প্রবাহে ছেড়ে দেয়। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি অর্থাৎ রক্তের সুগারবৃদ্ধির বা ডায়াবেটিসের দুই প্রধান শত্রূ ময়দা ও চিনি ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর চর্বি, অল্প ফাইবার ইত্যাদি।

বিস্কুট কি জাঙ্ক ফুড?

বিস্কুট একটি জাঙ্ক ফুড। জাঙ্ক ফুড কি? জাঙ্ক ফুড অস্বাস্থ্যকর খাবার যার মধ্যে মিষ্টি পানীয়, ললি, চকলেট, মিষ্টি স্ন্যাকস, চিপস এবং ক্রিস্পস, ক্রাঞ্চি স্ন্যাক ফুড, বিস্কুট, কেক, বেশিরভাগ ফাস্ট ফুড, পাই, সসেজ রোল, জ্যাম এবং জেলি রয়েছে।

বিস্কুটের অপকারিতা:

ময়দার খামির বা ঢেলা:

বিস্কুট তৈরির প্রধান উপাদান আটা বা ময়দা। বিশাল আকৃতির ময়দার খামির বা ঢেলাকে ছোট্ট ছোট্ট অংশে ভাগ করে বিস্কুটের আকার দেওয়া হয়।

প্রিজারভেটিভ দেওয়া:

বিস্কুটের কোম্পানিগুলো বিস্কুট বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। কবে আপনার হাতে পড়বে আর আপনি খাবেন মানে আপনি দোকান থেকে কিনবেন।  দেড় থেকে দুই বছরের একটা expiry ডেট রেখে বাজারে ছাড়ছে। যেখানে ব্যবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ করাই মূল উদ্দেশ্য। আপনি কি মনে করেন কোনো প্রিজারভেটিভ ছাড়াই আপনাকে বিস্কুট খাওয়াচ্ছে বিস্কুটের কোম্পানিগুলো।

পুষ্টি উপাদান সামান্য:

ময়দা, চিনি, লবন, ফ্লেভার যত কিছুই থাকুক না কেন আপনি কি মনে করেন বিস্কুট অধিক পুষ্টিকর একটি খাবার। আসলে, বিস্কুট উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার নয়। প্যাকেটজাত, সংরক্ষিত খাবারের পুষ্টির মাত্রা সর্বদায় প্রশ্নবিদ্ধ।

অতিরিক্ত চিনি:

বিস্কুটে কি পরিমান চিনি থাকে তা আমি আপনি সকলে জানি। বাচ্চারা মিষ্টি জাতীয় খাবার বা মিষ্টি বিস্কুট পছন্দ করে আমরা সকলে জানি। কিন্তু তাই বলে আপনাকে কম মিষ্টি খাওয়াবে না। অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খাওয়াবে মানে বিস্কুটের ভিতরে যে ক্রিম ফিলিং বা চকো ফিলিং থাকে সেটি অধিক মিষ্টি।

কোষ্টকাঠিন্য বাড়ায়:

অনেক ছোটো বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। বাচ্চাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে অনেকটাই দায়ী এই বিস্কুট।

শুধুই পেট ভরে:

একথা সত্য যে, প্যাকেটজাত ও প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবারে শুধু পেটই ভরে।  এছাড়া অনেক বাচ্চাদের allergy সমস্যা দেখা দেয়।