খোস পাচড়া ও চুলকানি সারাতে নিমপাতা।

আয়ুর্বেদে নিমপাতাকে “স্কিনের রানী” বলা হয়। স্কিনের যেকোনো সমস্যায় নিমপাতা মহাঔষধ হিসাবে কাজ করে। খোস পাচড়া ও চুলকানি সারতে আমরা অনেক দামি দামি ঔষুধ খেয়ে থাকি।

এসব ঔষুদের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কিন্তু এইসব দামি দামি ঔষুধের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায়ে নিমপাতা ব্যাবহার করে খোস পাচড়া ও চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে পারি।

কি কারণে খোস পাচড়া ও চুলকানি হয়?

স্ক্যাবিস বা খোস পাঁচড়া একটা ছোঁয়াচে রোগ। যা সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা সংক্রমণ ঘটে। সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট একটা পরজীবি যা, খালি চোঁখে দেখা যায় না।

এটা ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যদের আক্রান্ত করে খুব সহজে। মাইট, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে আবার আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়-চোপড় ব্যবহারের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

কারণ মাইট আমাদের শরীরের বাইরে অর্থাৎ কাপড়-চোপড়, কাঁথা-বালিশ, আসবাবপত্রে ২-৩ দিন বেঁচে থাকতে পারে।

চুলকানি কোনো পরজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় কিনা এটা সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। সাধারণত গোসলের সময় ঠিক মতো সাবান শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার না হলে,ঠিক মতো গোসল না করলে চুলকানি হয়ে থাকে।

নিমপাতার সাহায্যে কিভাবে খোস পাচড়া ও চুলকানি দূর করা যায়

খোস পাচড়া ও চুলকানি সারতে নিমপাতা অতুলনীয়। এক্ষেত্রে নিমপাতা ও নিম গাছের ফুল দুটোই ভালো কাজ করে।

খোস পাচড়া:

  • খোস পাচড়া হলে নিমপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোস পাচড়া কমে যায়।
  • এছাড়া নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষত কমে যায়।

চুলকানি:

  • চুলকানি হলে নিমপাতা বা নিমফুল বেটে গাঁয়ে কয়েকদিন ধরে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
  • এছাড়া পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানিতে লাগালে যাদুর মতো কাজ করে।
  • আমরা নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগাতে পারি।