কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে কি করা উচিত।

মানবদেহ বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। তাই বিদ্যুৎ প্রবাহ রয়েছে সেরকম কোনো তার বা বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্পর্শে এলে সহজেই দেহে বিদ্যুতায়ন হতে পারে। প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় কারেন্ট শক বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট।

এই কারেন্ট শক বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট জীবন পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে। অধিকাংশ বিদ্যুৎপৃষ্ট হবার ঘটনা ঘটে অসতর্কতা থেকে। তাই ইলেকট্রিক দুর্ঘটনার ব্যপারে জানা থাকা খুব জরুরি। একটু সচেতনতা অনেক সময় অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাৎক্ষণিক কী করা উচিত –

  • কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাহলে তার গায়ে কিছুতেই হাত দেবেন না। এমনকি গায়ে পানিও দেবেন না। বরং শুকনো কাঠের টুকরো, খবরের কাগজ অথবা রাবার জাতীয় তড়িৎ অপরিবাহী বস্তু দিয়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিন। তাতে বিদ্যুতের উৎস থেকে সেই ব্যক্তির ছিটকে যাওয়া সম্ভব হবে।
  • সবার আগে দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করার চেষ্টা করুন। অনেক ক্ষেত্রে মেইন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে যে সময় নষ্ট হয়, তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির প্রাণ হারানোর সুযোগ থাকে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরাতে পারলে সাথে সাথে গরম দুধ ও গরম পানি খাওয়ান। এতে করে শরীরের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
  • বিদ্যুত স্পৃষ্ট ব্যক্তির গলা, বুক ও কোমরের কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে।
  • অনেক সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট থেকে মুক্তি পেলেও শ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা সমস্যা হতে পারে। সে রকমটা হলে বুকের ওপর জোরে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র চালু করুন।
  • কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে, সেই অবস্থায় তার গায়ে একদমই হাত দেওয়া যাবে না। যিনি হাত দেবেন বা আক্রান্তকে বিদ্যুৎ থেকে মুক্ত করতে যাবেন তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবেন।
  • সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে শুকনো খবরের কাগজ, উলের কাপড়, শুকনো কাঠের টুকরো অথবা রাবার দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যাক্তিকে বেদ্যুতিক উৎস হতে ধাক্কা মেরে আলাদা করতে হবে।
  • সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে দ্রুত বৈদ্যুতিক অফিসে খবর দিতে হবে।
  • বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।