ব্রেন টিউমার কি, কেন হয় ও কাদের ঝুঁকি বেশি।

ব্রেন টিউমার কি

সাধারণত মস্তিষ্কের টিউমারকেই ব্রেন টিউমার বলা হয়। যেকোনো বয়সেই মস্তিষ্কে টিউমার হতে পারে। মস্তিষ্কের টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্রেইন টিউমার বা মস্তিষ্কের টিউমার বলে। ব্রেনে বা মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরণের টিউমার হয়।

কিছু মস্তিষ্কের টিউমার নন-ক্যানসারাস এবং কিছু মস্তিষ্কের টিউমার ক্যান্সারযুক্ত হয়।

ব্রেন টিউমার একটি অত্যান্ত জটিল এবং সংযোজনশীল অঙ্গের টিউমার। তাই রোগটির চিকিৎসা পদ্ধতিও অনেক জটিল ও ক্ষেত্রবিশেষ অনেক ব্যয়বহুলও।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ

চলুন জেনে নেওয়া যাক, মস্তিষ্কে টিউমার হওয়ার লক্ষণগুলি কি কি-

  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মস্তিষ্কে টিউমারের প্রধান লক্ষণ।
  • মস্তিষ্কে টিউমারের প্রধান লক্ষণ হল প্রচন্ড মাথা ব্যথা। মস্তিষ্কের সংবেদনশীল স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে এই ব্যথা হয়ে থাকে। ঘন ঘন তীব্র মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
  • মস্তিষ্কে টিউমার বড় হতে থাকলে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটতে গেলে মাথা ঘুরানো শুরু হয়। শরীর সবসময় দুর্বল থাকে। মাথা ঘুরানোর ফলে কোন কাজ ঠিক ভাবে করা যায় না।
  • বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে মস্তিষ্কে টিউমার হলে। এই বমি বমি ভাব লাগাটা বেশিরভাগ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর লাগে। মাথা ব্যথার সাথে বমি হয়। তীব্র মাথাব্যথার সাথে বমি বমি ভাব হওয়া বা বমি হওয়া, এটা কখনই অবহেলা করা উচিৎ নয়।
  • ব্রেনে টিউমার হওয়ার আরেকটি প্রধান লক্ষণ হল খিঁচুনি (Seizures) হওয়া। খিঁচুনি সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। খিঁচুনি সবসময় মস্তিষ্কের টিউমার হওয়ার কারণে হয় এমনটা নয়।
  • মস্তিষ্কের টিউমারের আরেকটি লক্ষণ হল দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া। চোখে ঝাপসা দেখা, বিভিন্ন বস্তু অস্পষ্ট দেখা এবং রং চিহ্নিত করতে সমস্যা হয়ে থাকে মস্তিষ্কে টিউমার হলে।
  • হাত পায়ে কোনো কারণ ছাড়াই যদি দুর্বলতা অনুভূত হয় তবে সেটা হতে পারে মস্তিষ্কে টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া হতাশা মস্তিষ্কের টিউমার সনাক্তকারী ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সাধারণ লক্ষণ।

ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি কাদের বেশি?

  • মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ফ্রিকোয়েন্সি বয়সের সাথে বৃদ্ধি পায়, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি ঘটে।
  • পারিবারিক ইতিহাস কিছু রোগের বিকাশের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে। পরিবারে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে।
  • মাথায় আঘাত পান যারা।