টিউমার কি? টিউমার কেন হয়?

টিউমার কি?

টিউমার একটি ইংরেজি শব্দ। শরীরের যেকোনো স্থানে কোষ ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সঙ্গে অস্বাভাবিক ও অসামঞ্জস্যভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে ওঠাকে টিউমার বলে৷

টিউমার অস্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ, যেখানে কোষগুলো অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বৃদ্ধি করে। টিস্যু মানে একই ধরনের কিছু কোষ, এই কোষগুলি এক হয়ে একই ধরনের কাজ করে। ফলে সৃষ্টি হয় টিউমার।

টিউমার সাধারনত তিন প্রকার

  • সৌম্য (Benign): এগুলো ক্যান্সার নয়। এই টিউমার বিস্তার করতে পারে না বা বাড়তে পারে না।
  • Premalignant: এই টিউমারগুলি এখনও ক্যান্সারযুক্ত নয়। তবে তাদের ম্যালিগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • ম্যালিগন্যান্ট (Malignant): ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যান্সার। কোষগুলি বৃদ্ধি এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

টিউমার কেন হয়?

  • যে সব মহিলা গাছ-গাছড়া ব্যবহার করে ভ্রূণ নষ্ট করে বা যে সব মহিলা অল্প বয়সে বিয়ে হয় ও ঘন ঘন সন্তান প্রসব করে সেই সব মহিলার জরায়ুতে আঘাত হেতু, জরায়ু, জরায়ু মুখ, ডিম্বকোষ, স্তন গ্রন্থিতে টিউমার দেখা দিতে পারে।

  • পুরুষদের অন্ডকোষে কোনো রকম আঘাত লাগলে অন্ডকোষ ফুলে শক্ত হয়ে টিউমার দেখা দেয়।

  • খাদ্যের পুষ্টিগুনের অভাবে লিভারে টিউমার দেখা দিতে পারে।

  • গায়ক, বংশীবাদক এদের গলায় বা ফুসফুসে টিউমার দেখা দিতে পারে।

  • ইসট্রিন হরমোনের অভাবে স্তনে টিউমার দেখা দিতে পারে

  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করার ফলে নারীদের সাধারণ হরমোন বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে জরায়ুতে, স্তনে বা যৌনিদ্বারে টিউমার দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।

  • কোনো কোনো পরিবারে বংশগতভাবে টিউমার দেখা দিতে পারে।

  • আঘাত, ঘর্ষণ, পেষণ বা উদ্দীপনার ফলে স্থান বিশেষ অ্যাডিনোমা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে টিউমার হতে পারে।

  • আলকাতরা, সেল অয়েল সুট ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্য চামড়ার উপর প্রদাহ সৃষ্টি করে টিউমার দেখা দিতে পারে।