ভিটামিন “K” হাড়কে দৃঢ় করে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বাঁধা দেয়। উচ্চ ভিটামিন “K” সমৃদ্ধ খাবার সমূহ।

আমাদের শরীরের রক্ত কণিকা জমাট বাঁধার জন্য ভিটামিন “K” খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সহজ কথায় কারো শরীরে ভিটামিন “K” এর অভাব থাকলে তার যেকোনো কাটাছেঁড়াতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে। আমাদের হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার রোগ যেমন অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ ভিটামিন “K” খুবই কার্যকরী। বিলিয়রি সিরোসিস নামে পরিচিত লিভারের রোগের উপশমে ভিটামিন “K” ব্যবহার করা হয়।

আমাদের ত্বকের লালচে দাগ ও মুখের পিম্পল দূর করতে ভিটামিন “K” খুবই উপকারী।

অস্ত্রোপচারের পরে, ভিটামিন “K” কাটা স্থান তাড়াতাড়ি শুকাতে, ক্ষত এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন “K” একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, ঋতুস্রাবের ব্যথা কমায়, মস্তিষ্কের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া দেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে লিভারে জমা রাখে এবং ক্যান্সাররের কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে ভিটামিন “K”।

ভিটামিন “K” এর গ্রূপ ভিটামিন K-1 এবং ভিটামিন K-2। ভিটামিন K-1 শাকসবজি এবং ভিটামিন K-2 মূলত মাংস, চিজ এবং ডিম থেকে পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি উচ্চ ভিটামিন “K” সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হলো –

সরিষা শাক

১০০ গ্রামে ৫৯৩ মাইক্রোগ্রাম

প্রতি ১ কাপে ৪২৫ মাইক্রোগ্রাম

১০০ গ্রামে ১৪১ মাইক্রোগ্রাম

লেটুস

প্রতি ১ কাপে ৬০ মাইক্রোগ্রাম

১০০ গ্রামে ৪৮৩ মাইক্রোগ্রাম

সয়াবিন

১০০ গ্রামে ৩৩ মাইক্রোগ্রাম

১০০ গ্রামে ২৬ মাইক্রোগ্রাম

প্রতি ১ কাপে ২০ মাইক্রোগ্রাম

১০০ গ্রামে ১০৯ মাইক্রোগ্রাম

মুরগির মাংস

১০০ গ্রামে ৬০ মাইক্রোগ্রাম

ডিমের কুসুম

১০০ গ্রামে ৩৪ মাইক্রোগ্রাম

১০০ গ্রামে ১৬ মাইক্রোগ্রাম

১০০ গ্রামে ১৬ মাইক্রোগ্রাম

১০০ গ্রামে ৪৩ মাইক্রোগ্রাম