জুতা পরে পায়ে ফোস্কা পড়লে করণীয় কি?

জুতা শুধুমাত্র ফ্যাশানের জন্য ব্যবহার করা হয় না, পায়ের সুরক্ষা ও ময়লা থেকে পা-কে নিরাপদ রাখতে জুতা ব্যবহার করা হয়। নতুন জুতা চামড়া, রাবার, প্লাস্টিক যা দিয়েই তৈরী হোক না কেন, অনেক সময় তা ত্বকের নমনীয়তার সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। যার ফলে ক্রমাগত নতুন জুতা থেকে তাপ উৎপন্ন হয়ে জায়গাটিতে ফোস্কা পড়তে থাকে।

অনেক সময় নতুন জুতা পরে কিছুক্ষন হাঁটা-চলা করার পর গোড়ালির পিছন দিকে, আঙুলের পাশে কিংবা বুড়ো আঙুলের তলায় ফোস্কা পড়ে। ফোস্কা পড়লে ২-৩ দিন হাঁটা চলা করাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই, জুতা পরে পায়ে ফোস্কা পড়লে আমাদের করণীয় কি সে সম্পর্কে জেনে নিব।

মধু ব্যবহার :

জুতা পরে পায়ে ফোস্কা পড়লে তা প্রতিরোধে মধু খুবই কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পায়ের ফোস্কা পরা জায়গাটাতে দিনে তিনবার খাঁটি মধু লাগাতে হবে ভালো করে। এতে করে পায়ের ফোস্কা দ্রুত শুকিয়ে যাবে। মধুর উপাদান সমূহ পায়ের ক্ষত দ্রুত শুকানো সহ যেকোন সংক্রামন থেকে রক্ষা করে খুব দ্রুত।

নারকেল তেল :

জুতা পরে পায়ে ফোস্কা হলে তা সারাতে খুবই কার্যকরী নারকেল তেল। ফোস্কা পড়া স্থানে নারকেল তেলের ব্যবহার শুধু ফোস্কা নয় বরং এটি আক্রান্ত স্থানের জ্বালাপোড়া চুলকানিও দূর করবে। এক চা চামচ কর্পূর এর সাথে সামান্য নারিকেল তেল মিশিয়ে পায়ের ফোস্কা পড়া জায়গাতে লাগাতে হবে। এটি দিনে দুইবার করে লাগালে তাড়াতাড়ি ফোস্কা সেরে যাবে।

বরফ:

জুতা পরে পায়ে ফোস্কা হলে তার হাত থেকে মুক্তি পেতে সব থেকে সহজ উপায় হল ফোস্কার উপরে বরফ লাগানো। বরফ শুধুমাত্র ব্যথাই কমাবে না, ফোস্কা তাড়াতাড়ি শুকাবেও। দিনে ২-৩ বার এই বরফ ব্যবহার করতে পারেন। বরফের ঠান্ডা জল ব্যবহার করলে একই কাজ দিবে।

লবণ:

ফোস্কা পড়া প্রতিরোধে লবণ খুব কার্যকরী। এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে ফোস্কা পড়া জায়গা ভিজিয়ে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট। এর ফলে জ্বালাপোড়া কমবে এবং ফোস্কার ফুলে উঠা অংশটা অনেকাংশে কমে যাবে। দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

চালের গুঁড়া:

জুতা থেকে পায়ে পরা ফোস্কার দাগ তুলতে সাহায্য করে চালের গুঁড়া। ২-৩ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সাথে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফোস্কা উঠা জায়গাটায় পেস্টটি লাগিয়ে রাখতে হবে যতক্ষন না শুকিয়ে যায়। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পেস্টটি দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করলে পায়ে ফোস্কা দূর হবে।

ডিম:

জুতা পরে পায়ে ফোস্কা পড়লে তা সারাতে ডিম খুবই কার্যকরী। এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে ডিমের সাদা অংশ ফোস্কা পড়া স্থানে ভালো করে লাগাতে হবে। দিনে ২-৩ বার লাগাতে হবে ফোস্কা পড়া স্থানে ডিমের সাদা অংশ। এতে করে পায়ের ফোস্কা দূর হবে।

অ্যালোভেরা:

ফোস্কার ব্যথা ও জ্বালাপোড়া সারতে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। আমরা অনেকেই জানিনা অ্যালোভেরা যেকোনো ক্ষত দ্রুত সাড়িয়ে তোলে। ফোস্কা পড়া স্থানে অ্যালোভেরা লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ধুঁয়ে ফেলতে হবে। এতে ফোস্কার জ্বালাপোড়া ভাব দ্রুত কমে যাবে। ভালো ফলাফল পেতে দিনে ২-৩ বার অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে হবে।