চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার।
অ্যালোভেরাকে বলা হয় জাদুকরি উদ্ভিদ। এটি যেমন পুষ্টিগুণে অনন্য, তেমনি রূপচর্চায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর নানা গুণ অনেকেরই জানা। চুলের যত্নেও অ্যালোভেরার আছে নানা ভূমিকা। চুল মজবুত ও লম্বা করতে অ্যালোভেরা বেশ কার্যকর।
ভেষজ এ গাছটির ব্যবহার হয়ে আসছে হাজার বছর আগে থেকে। সারাদিনের ধূলবালি থেকে ঘাম, ফলে খোলা চুল নিয়ে গর্ব করার পাঠ ক্রমেই যাচ্ছে চুকে। বেঁধে রাখার ফলে আবার চুলের হারাচ্ছে কোমলতা। কিন্তু পার্লার মুখো হওয়ার সময়ও নেই, বা তা খরচ সাপেক্ষও বটে। এবার ঘরোয়া উপায় কেবল অ্যালভেরা ব্যবহার করে পান সুন্দর চুল।
জেনে নিন চুলের যত্নে অ্যালোভেরা কিভাবে ব্যবহার করবেন-
খুশকি দূর করে:
মাথার খুশকি কমিয়ে ফেলতে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা। আপেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা লাগিয়ে মাথায় ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন খুশকি দূর হবে।
চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে:
চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে দই ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। দু’ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা মিশিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। কন্ডিশনার ও দিতে ভুলবেন না।
চুলের রুক্ষতা দূর করতে:
রুক্ষ চুলকে উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করতে পারেন মধু,নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল। শুষ্ক চুলে আর্দ্রতা ফেরাতে ও চুলের ডিপ কন্ডিশনিং করতে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এক চা চামচ মধু, দু’ চামচ নারকেল তেল ও দু’ চামচ অ্যালোভেরা নিয়ে মিশিয়ে এক জেলের মতো উপাদান তৈরি করুন। গোসলের ৩০ মিনিট আগে এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে একটা শাওয়ার ক্যাপে ঢেকে দিন মাথা। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
কন্ডিশনার হিসাবে:
চুলকে গভীরভাবে কন্ডিশনিং করতে অ্যালোভেরা জেল, মধু ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর তা ধুয়ে নিন।
চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে:
লেবুর রস, অ্যালোভেরা ও আমলার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, গোড়া মজবুত করে।
চুল পড়া রোধে:
একটি ডিমের কুসুম ও দু’চামচ অ্যালোভেরা ও তার সঙ্গে এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। এতে চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া বন্ধ হবে।
সতর্কতা
উপকারী হলেও অ্যালোভেরা কারো কারো ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। তাই চুলে ব্যবহারের আগে হাতের কবজিতে কিছুটা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে লাগিয়ে দেখুন।