চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার।

অ্যালোভেরাকে বলা হয় জাদুকরি উদ্ভিদ। এটি যেমন পুষ্টিগুণে অনন্য, তেমনি রূপচর্চায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর নানা গুণ অনেকেরই জানা। চুলের যত্নেও অ্যালোভেরার আছে নানা ভূমিকা। চুল মজবুত ও লম্বা করতে অ্যালোভেরা বেশ কার্যকর।

বেঁধে রাখার জন্য আবার চুলের হারাচ্ছে কোমলতা। এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় হিসাবে অ্যালভেরা ব্যবহার করে পেতে পারেন সুন্দর চুল।

জেনে নিন চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার-

খুশকি দূর করে:

চুলের খুশকি কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা লাগিয়ে মাথায় ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন খুশকি দূর হবে।

চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে:

চুল উজ্জ্বল করতে দই ও অ্যালোভেরা একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। ২ চামচ টক দইয়ের সাথে ১ চামচ অ্যালোভেরা মিশিয়ে ১০ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।

চুলের রুক্ষতা দূর করতে:

শুষ্ক রুক্ষ চুলকে উজ্জ্বল করতে চান? তাহলে ব্যবহার করুন মধু, নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল। এজন্য ১ চামচ মধু, ২ চামচ নারকেল তেল এবং ২ চামচ অ্যালোভেরা মিশিয়ে গোসলের ৩০ মিনিট আগে এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কন্ডিশনার হিসাবে:

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। এক্ষেত্রে চুলকে কন্ডিশনিং করতে অ্যালোভেরা জেল এর সাথে মধু ও নারকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর চুল ধুয়ে নিন।

চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে:

অ্যালোভেরার তো আমলা বা আমলকিও চুলের বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী। লেবুর রস, অ্যালোভেরা ও আমলকির রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চুলে লাগান। এতে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, গোড়া মজবুত হবে।

চুল পড়া রোধে:

ডিমের কুসুম ও অ্যালোভেরা তার সঙ্গে ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া বন্ধ হবে।

সতর্কতা

কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা উপকারী হলেও অ্যালোভেরা কারো কারো ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। তাই চুলে ব্যবহারের আগে হাতে কিছুটা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে লাগিয়ে দেখুন। তবে বাজার থেকে অ্যালোভেরা জেল কিনে ব্যবহার না করায় ভালো।