ভিটামিন কি ? কত প্রকার ও কি কি? এবং এর উৎস, কাজ ও অভাবজনিত লক্ষণ।

ভিটামিন কি?

ভিটামিন হল প্রয়োজনীয় পুষ্টি যা আপনার শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে এবং সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে।

অর্থাৎ দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি, বৃদ্ধি, রক্ষানাবেক্ষণ ও অন্যান্য কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতি প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে তাকে ভিটামিন বলে।

তাহলে আমরা বলতে পারি, ভিটামিন হলো পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দেহের ক্রিয়াকলাপ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজন।

আমাদের শরীর ভিটামিন তৈরি করতে পারে না তাই আমারা বিভিন্ন প্রকার খাবার গ্রহণ এর মাধ্যমে ভিটামিন পেয়ে থাকি।

দেহে ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রোগ বা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ভিটামিন “এ” র অভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। ১৯১২ সালে বিজ্ঞানী ক্যাশিমির ফ্রাঙ্ক ভিটামিন আবিষ্কার করেন।

ভিটামিন কত প্রকার ও কি কি?

ভিটামিন ৬ প্রকার। ১. ভিটামিন “এ” ২. ভিটামিন “বি” ৩. ভিটামিন “সি” ৪. ভিটামিন “ডি” ৫. ভিটামিন “ই” ও ৬. ভিটামিন “কে”। তবে এসব ভিটামিনের আবার ভাগ আছে।

ভিটামিন “এ”

ভিটামিন “এ” আমাদের শরীরে তৈরি হয় না, এজন্য আমাদের খাদ্যের সাথে ভিটামিন “এ” গ্রহণ করা খুবই জরুরি।

ভিটামিন “এ” একটি চর্বি-দ্রবণীয় পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আসলেই রেটিনল, রেটিনাল এবং রেটিনাইল এস্টার (esters) সহ চর্বি-দ্রবণীয় যৌগগুলির একটি গ্রুপের নাম।

খাবারে দুই ধরনের ভিটামিন “এ” পাওয়া যায়। প্রিফর্মড ভিটামিন “এ” — রেটিনল এবং রেটিনাইল এস্টার — প্রাণীজ পণ্য যেমন দুগ্ধ, লিভার এবং মাছে পাওয়া যায়। প্রোভিটামিন “এ” ক্যারোটিনয়েড ফল, শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে থাকে।

আমাদের শরীরের বেশিরভাগ ভিটামিন “এ” লিভারে রেটিনাইল এস্টার আকারে রাখা হয়। এই এস্টারগুলিকে অল-ট্রান্স-রেটিনলে ভেঙে ফেলা হয়, যা রেটিনল বাইন্ডিং প্রোটিন (RBP) এর সাথে আবদ্ধ হয়।

তারপর ভিটামিন “এ” আমাদের রক্ত ​​প্রবাহে প্রবেশ করে এবং শরীর ভিটামিন “এ” কে ব্যবহার করতে পারে।

ভিটামিন “এ”র কাজ

ভিটামিন “এ” ত্বকের জন্য ভালো, চোখের দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন “এ” উৎস

উদ্ভিদ উৎস: মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, বাঁধাকপি, গাজর, সবুজ শাকসবজি, পেঁপে, পালং শাক, পেয়ারা, পাকা আম ইত্যাদি হল ভিটামিন “এ”র উদ্ভিজ্জ উৎস।

প্রাণিজ উৎস: কিছু কিছু মাছের যকৃত, মুরগির কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন ভিটামিন “এ”র প্রাণিজ উৎস।

অভাবজনিত লক্ষণ

  • রাতকানা রোগ হয়
  • ভিটামিন “এ” এর অভাবে একজিমা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।
  • চোখে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
  • বন্ধ্যাত্ব এবং গর্ভধারণে সমস্যা হয়।
  • ভিটামিন “এ” এর অভাবে গলা এবং বুকে সংক্রমণ হতে পারে।

ভিটামিন “বি” কমপ্লেক্স-

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আটটি বি ভিটামিনের সমন্বয়ে গঠিত:

  • B-1 (থায়ামিন)
  • B-2 (রাইবোফ্লাভিন)
  • B-3 (নিয়াসিন)
  • B-5 (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড)
  • B-6 (পাইরিডক্সিন)
  • B-7 (বায়োটিন)
  • B-9 (ফলিক অ্যাসিড)
  • B-12 (কোবালামিন) এর সংমিশ্রণ হলো ভিটামিন “বি” কমপ্লেক্স।

ভিটামিন “বি” কমপ্লেক্স এর কাজ

বি ভিটামিন আমাদের সুস্বাস্থ্যতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে ভিটামিন “বি” কমপ্লেক্স আমাদের শরীরের যেসব কাজে লাগে তা দেওয়া হলো –

  • মানব দেহের বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক রাখে।
  • কোষের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • লাল রক্ত ​​কোষ বৃদ্ধি করে।
  • দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
  • মস্তিষ্কের ফাংশন ঠিক রাখে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • স্নায়ু ফাংশন ঠিক রাখে।
  • হরমোন এবং কোলেস্টেরল উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

ভিটামিন “বি” কমপ্লেক্স এর উৎস

লাল আটা, বিট, অ্যাভোকাডো, আলু, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, ভাতের ফ্যান, টমেটো, ইস্ট, অঙ্কুরিত ছোলা, দুধ, পনির, যকৃত, ডিম, মাংস, মাছ, আস্ত শস্যদানা, তরমুজ, বাদাম, কলা এবং বীজ ইত্যাদি হলো ভিটামিন “বি” কমপ্লেক্স এর উৎস।

এর অভাব জনিত লক্ষণ

  • বেরিবেরি রোগ একমাত্র ভিটামিন “বি” 1 এর অভাবে ঘটে থাকে।
  • বি 12 এর অভাবে ক্লান্তি ভাব, দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য, হাত ও পায়ে অসাড়তা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
  • ভিটামিন বি 6 এর অভাবে রক্তাল্পতার পাশাপাশি ত্বকের রোগ হতে পারে, যেমন একটি চুলকানি ফুসকুড়ি বা মুখের চারপাশে ফাটল। এছাড়া বিষণ্ণতা, বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • ভিটামিন B3 এর অভাবে হজম সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যেমন- বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা।
  • ভিটামিন বি 9 এর অভাবের মেগালোব্লাস্টিক (megaloblastic) অ্যানিমিয়া, যা দুর্বলতা সৃষ্টি করে, ক্লান্তি, মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়, মাথাব্যথা ও নিঃশ্বাসের দুর্বলতা, ত্বক, চুল বা নখের রঙের পরিবর্তন হয়।

ভিটামিন “সি”

ভিটামিন “সি” একটি দ্রবণীয় ভিটামিন যা ফল এবং শাকসবজি থেকে পাওয়া যায়। মানব দেহ ভিটামিন “সি” উৎপাদন করতে বা সঞ্চয় করতে পারে না।

তাই এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মিত আমাদের গ্রহণ করতে হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি” এর প্রয়োজন হয়।

ভিটামিন “সি”, যা এল-অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (L-ascorbic acid) নামেও পরিচিত। এটি একটি জলে দ্রবণীয় ভিটামিন যা প্রাকৃতিকভাবে কিছু খাবারে উপস্থিত থাকে।

ভিটামিন “সি” কোলাজেন, এল-কার্নিটাইন এবং নির্দিষ্ট নিউরোট্রান্সমিটারের জৈব সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজন। এই ভিটামিন প্রোটিন বিপাকের (হজম) সাথে জড়িত।

কোলাজেন সংযোজক টিস্যুর একটি অপরিহার্য উপাদান, যা ক্ষত নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন “সি” অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে।

ভিটামিন “সি” উৎস

নিচে কয়েকটি উচ্চ ভিটামিন “সি” সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হলো – পাতিলেবু, পেঁপে, কমলালেবু, স্ট্রবেরী, ব্রকলি, আমলকী, পেঁয়ারা, সরিষার শাক, কাঁচা মরিচ, টমেটো, আনারস, সবুজ শাকসবজি এর মধ্যেই ভিটামিন “সি” পাওয়া যায়।

ভিটামিন “সি” এর কাজ

নিচে ভিটামিন “সি” এর কাজ দেওয়া হলো –

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধকারী ভিটামিন “সি” দাঁতের মাড়ি সুস্থ্য রাখে।
  • ক্ষতস্থান নিরাময়ে সহায়তা করে।
  • রক্তচাপ কমায় ও হার্ট সুস্থ্য রাখে।
  • ভিটামিন “সি” আয়রন এর শোষণকে উন্নত করে। ফলে আয়রনের ঘাটতির ঝুঁকিও কমাতে পারে।
  • ভিটামিন “সি” – কোলাজেন সংশ্লেষণ, সংযোজক টিস্যু, হাড়, দাঁত এবং ছোট রক্তনালীগুলির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
  • ভিটামিন “সি” আমাদের দেহের ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের কোষগুলি মেরামত করতে সহায়তা করে।

ভিটামিন “সি” এর অভাব জনিত লক্ষণ

নিচে ভিটামিন “সি” এর অভাব জনিত লক্ষণ দেওয়া হলো –

  • স্কার্ভি রোগ ভিটামিন “সি” এর অভাবে ঘটে থাকে।
  • অ্যানিমিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
  • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
  • হাড় এবং দাঁতের ক্ষয় এর মতো দুরারোগ্য ব্যাধি মানে শরীরে ভিটামিন “সি” এর অভাব।

ভিটামিন “ডি”

ভিটামিন “ডি” কে কখনও কখনও “সানশাইন ভিটামিন” (sunshine vitamin) বলা হয় কারণ এটি সূর্যালোকের প্রতিক্রিয়ায় আমাদের ত্বকে উৎপাদিত হয়। এটি যৌগগুলির একটি পরিবারে একটি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন যা ভিটামিন D-1, D-2 এবং D-3 অন্তর্ভুক্ত করে।

আমাদের শরীর প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন “ডি” তৈরি করে যখন আমরা সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসি।

এছাড়া কিছু খাবারের মাধ্যমেও আমরা ভিটামিন “ডি” পেতে পারি। ভিটামিন “ডি” এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণ করা।

ভিটামিন “ডি” এর উৎস

ভিটামিন “ডি” এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সকালের সূর্যের আলো। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, চিংড়ি, দুধ, খাদ্যশস্য, দই, কমলার রস ইত্যাদি ভিটামিন “ডি” এর ভালো উৎস।

ভিটামিন “ডি”র কাজ

অন্যান্য ভিটামিনগুলির বিপরীতে, ভিটামিন “ডি” হরমোনের মতো কাজ করে। নিচে ভিটামিন “ডি” আমাদের শরীরে কি কি কাজ করে দেওয়া হলো –

  • ভিটামিন “ডি” অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণকে উৎসাহিত করে।
  • পাশাপাশি এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসকেও দ্রবীভূত করে।
  • ভিটামিন “ডি” শিশুদের রিকেট এবং বয়স্কদের অস্টিওম্যালাসিয়া প্রতিরোধ করে।
  • বয়স্কদের অস্টিওপরোসিস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

ভিটামিন “ডি” এর অভাবে কি হয়

  • ক্লান্তি বোধ হয়।
  • হাড়ের ব্যথা এবং পিঠের ব্যথা রক্তে ভিটামিন “ডি” এর অভাবে হয়।
  • ভিটামিন “ডি” এর ঘাটতি হলে বার বার অসুস্থ হওয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতো শ্বাস নালীর সংক্রমণ হতে পারে।
  • যদি অস্ত্রোপচার বা আঘাতের পরে ক্ষতস্থান ধীরে ধীরে নিরাময় হয় তাহলে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন “ডি” এর অভাব রয়েছে।
  • অনেক বয়স্ক ব্যক্তিরা যাদের হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে তারা মনে করে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব রয়েছে।
  • চুল পড়ে যায়।
  • ভিটামিন “ডি” এর অভাবে মাংসপেশীতে ব্যথা সৃষ্টি হয়।

ভিটামিন “ই”

ভিটামিনসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ভিটামিন “ই”। ভিটামিন “ই” ৮ টি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন এর একটি গ্রূপ যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে।

ভিটামিন “ই” এর উৎস

সূর্যমুখী বীজ, ব্রকলি, অ্যাভোকাডো, পালংশাক, আমন্ড, ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন, লাল ক্যাপসিকাম, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, গলদা চিংড়ি, সবুজ শাকসবজি, অঙ্কুরিত ছোলা উদ্ভিদের ভিটামিন “ই” এর উৎস।

ভিটামিন “ই”র কাজ:

  • ভিটামিন “ই” হার্টের রোগ, ক্যান্সার এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা থেকে চোখকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
  • লিভার, যকৃত, অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন “ই” সহায়তা করে।
  • ভিটামিন “ই” মাতৃদুগ্ধ স্বাভাবিকভাবে নিঃসরণ করতে সহায়তা করে।
  • স্নায়ু ও মাংসপেশীর কার্যক্ষমতা বজায় রাখতেও ভিটামিন “ই” সাহায্য করে।
  • ভিটামিন “ই” অত্যন্ত উন্নত মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভিটামিন “ই” সহায়তা করে।
  • ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা ও চুল পড়া রোধে ভিটামিন “ই” এর ভূমিকা অপরিসীম।

ভিটামিন “ই” এর অভাবজনিত লক্ষণ

  • এই ভিটামিনের অভাবে প্রজনন ক্ষমতা স্লথ হয়ে যায়।
  • ইউট্রাস এ ভ্রূণের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
  • মাতৃদুগ্ধের প্রোডাকশন স্লো করে।

ভিটামিন “কে”

আমাদের শরীরের রক্ত কণিকা জমাট বাঁধার জন্য ভিটামিন “K” খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সহজ কথায় কারো শরীরে ভিটামিন “K” এর অভাব থাকলে তার যেকোনো কাটাছেঁড়াতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন “কে” এর উৎস

সরিষা শাক, শালগম, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ডিমের কুসুম, ডালিম, ডুমুর, টমেটো ইত্যাদি ভিটামিন “কে” এর উৎস।

ভিটামিন “কে”র কাজ

  • হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার রোগ যেমন অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ ভিটামিন “K” খুবই কার্যকরী।
  • আমাদের পিম্পল দূর করতে ভিটামিন “K” খুবই উপকারী।
  • অস্ত্রোপচারের পরে, ভিটামিন “K” কাটা স্থান তাড়াতাড়ি শুকাতে, ক্ষত এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন “K” একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, ঋতুস্রাবের ব্যথা কমায়, মস্তিষ্কের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • এছাড়া দেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে লিভারে জমা রাখে এবং ক্যান্সাররের কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে ভিটামিন “K”।
রেফারেন্স: