স্ত্রীর কথা মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

সবাই সুখী হতে চায় এবং সুখ আসবে আবার চলেও যাবে। একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বজায় রাখা আপনার ভাবার চেয়ে সহজ। ভাল বা খারাপ, বিবাহ হলো একটা সমঝোতা। স্ত্রী এবং স্বামী একসাথে বৃদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা এবং আগ্রহ উভয়ই পরিবর্তিত হতে পারে। বছরে কয়েকবার আপনার সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হন। আপনার প্রয়োজনগুলি পরিবর্তিত হলে প্রকাশ করার জন্য এই সময়টি ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন, “আমার নিজের কাছে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে” বা “আমরা যদি বাচ্চাদের ছাড়া আরও বেশি সময় কাটাতে পারি তবে আমি এটি পছন্দ করব।”

আপনি সবেমাত্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বা আপনি কোনও বার্ষিকীতে পৌঁছে গেছেন, স্বামীর সাথে সম্পর্কের বিষয়ে কাজ করার জন্য এটি সবসময়ই ভাল সময়। একসাথে সময় ব্যয় করা এবং ঘনিষ্ঠতা উন্নতি করা আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন স্পার্ক যুক্ত করতে পারে।

ভালো থাকতে চান? স্ত্রীর কথা শুনুন, তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। নিজের হৃদয় ও হৃৎযন্ত্রকে সুস্থ রাখার মোক্ষম দাওয়াই- জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা।

গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, সময় বের করে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও কিংবা অবসন্ন হয়ে বিছানায় যেতে মন ছটফট করলেও স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটান, ইতিবাচক আলোচনা করুন।

স্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা আপনার হৃৎযন্ত্রকে সুস্থতা নিশ্চিত করবে। মার্কিন গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখেছেন যে, স্ত্রীর সঙ্গে ইতিবাচক কথাবার্তায় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

গবেষকেরা এই গবেষণার জন্য ২৮১ জন মধ্যবয়সী দম্পতির তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষকেরা দাবি করেছেন, আবেগ, শারীরিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়গুলোর সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে জড়িত থাকে ইতিবাচক কথাবার্তা ।

এ বিষয়গুলো স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে লাইভ সায়েন্স সাময়িকীতে। গবেষক জোসেফ অবশ্য বলেছেন, পুরু ক্যারোটিড অ্যার্টেরিসের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্কের যোগসূত্র থাকতে পারে।