কার্ডিওমায়োপ্যাথি কি? কার্ডিওমায়োপ্যাথির কারণ ও লক্ষণ।

কার্ডিওমাইওপ্যাথি (Cardiomyopathy) হৃৎপিণ্ডের পেশীর একটি রোগ যা হৃদপিণ্ডকে শরীরের বাকি অংশে রক্ত পাম্প করা কঠিন করে তোলে।

কার্ডিওমায়োপ্যাথির প্রধান ধরনগুলির মধ্যে রয়েছে হাইপারট্রফিক (hypertrophic) এবং সীমাবদ্ধ কার্ডিওমায়োপ্যাথি ( restrictive cardiomyopathy)।

এই রোগের বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা রয়েছে যেমন:  ওষুধ, অস্ত্রোপচার, হার্ট সার্জারি বা গুরুতর ক্ষেত্রে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট। মূলত চিকিৎসা কার্ডিওমায়োপ্যাথির ধরন এবং এটি কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে।

কার্ডিওমায়োপ্যাথির লক্ষণ

কার্ডিওমায়োপ্যাথির প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে। উপসর্গগুলি মধ্যে রয়েছে:

  • শ্বাসকষ্ট।
  • পা, গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া।
  • তরল জমা হওয়ার কারণে পেট ফুলে যাওয়া।
  • শুয়ে থাকা অবস্থায় কাশি হওয়া।
  • সমতল শুয়ে ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া।
  • ক্লান্তি।
  • হৃদস্পন্দন যা দ্রুত হওয়া।
  • বুকে অস্বস্তি হওয়া।
  • মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি খারাপ হতে থাকে।

কার্ডিওমায়োপ্যাথির কারণ:

কার্ডিওমায়োপ্যাথির কারণ অজানা। কিন্তু এটি অন্য অবস্থার ফলাফল ও হতে পারে। কিছু স্বাস্থ্য অবস্থা যা কার্ডিওমায়োপ্যাথির দিকে পরিচালিত করতে পারে। যেমন:

  • দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তচাপ।
  • হার্ট অ্যাটাক থেকে হার্টের টিস্যুর ক্ষতি।
  • দীর্ঘমেয়াদী দ্রুত হৃদস্পন্দন।
  • হার্টের ভালভের সমস্যা।
  • বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ যা হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ সৃষ্টি করে।
  • বিপাকীয় ব্যাধি, যেমন স্থূলতা, থাইরয়েড বা ডায়াবেটিস।
  • খাদ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বা খনিজের অভাব।
  • হৃদপিন্ডের পেশীতে আয়রন জমা হওয়া।
  • অঙ্গগুলিতে অস্বাভাবিক প্রোটিন তৈরি করা।
  • সংযোগকারী টিস্যুর ব্যাধি।
  • অত্যধিক অ্যালকোহল পান করা।

কার্ডিওমায়োপ্যাথি প্রতিরোধ:

অনেক ক্ষেত্রে, কার্ডিওমায়োপ্যাথির কোন প্রতিরোধ নেই। আপনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে কার্ডিওমায়োপ্যাথি এবং বিভিন্ন ধরণের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যালকোহল বা কোকেন ব্যবহার এড়ানো।
  • উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া।
  • প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  • যথেষ্ট ঘুমানো।