শিশুদের চোখ উঠার লক্ষণ এবং আমাদের করণীয়।
চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ। ছোট-বড় সবারই চোখ উঠতে পারে। চোখ ওঠা কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগ নয়। চোখ উঠলে তিন থেকে চার দিন পর এমনিতে ভালো হয়ে যায়।
মৃত ত্বক, ময়লা বা তেল জমে ওই ছোট ছোট তেল গ্রন্থিগুলোকে বন্ধ করে দেয়। তেল গ্রন্থি বন্ধ হয়ে গেলে তার ভেতরে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়, আর তার ফলে ফুসকুড়ি হয়। এটি চোখের ভেতরে ও বাইরে হতে পারে।
তবে, শিশুদের ক্ষেত্রে মা-বাবাকে একটু সচেতন থাকতে হবে। অনেক সময় শিশুরা চোখ চুলকাতে থাকে।
চোখ ওঠার লক্ষণ-
নিচে চোখ ওঠার লক্ষণগুলো দেওয়া হলো –
- ছোটদের ব্যথা হলে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। তাই অনেক ক্ষেত্রে কান্নাকাটি করে।
- শিশুর চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাওয়া।
- চোখের পাতা ফুলে যাওয়া।
- কোনো কিছু দেখতে সমস্যা হওয়া।
- আলোতে গেলে চোখ জ্বালাপোড়া করা।
- ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের দুই পাতা একসঙ্গে লেগে থাকা।
- চোখে হলুদ বা সাদা রঙের ময়লা জমা।
- চোখ দিয়ে পানি পড়া।
- চোখে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হওয়া।
চোখ উঠলে শিশুর প্রতি মা-বাবার করণীয়-
শিশুর চোখ ওঠলে মা-বাবার করণীয় কি তা নিচে দেওয়া হলো –
- শিশুর চোখ নিয়মিত পরিষ্কর রাখুন।
- ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
- যেসব শিশু স্কুলে যায় তাদের কয়েকদিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।
চোখ ওঠলে যেসব ভুলেও করবেন না-
- ঘন ঘন চোখে পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- একটি রুমাল ব্যবহার করার পর বারবার সেটা ব্যবহার করা যাবে না।
- একজনের চোখের ড্রপ অন্যজনের ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে করে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
- চোখ চুলকালে শিশুর চোখে ময়লা হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- কোন শক্ত কাপড় দিয়ে চোখ মোছা যাবে না।
এই সময় শিশুকে সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। তবে এলার্জি জাতীয় কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না। কারণ এতে সংক্ৰমন বেড়ে যেতে পারে। শিশুদের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন “এ” জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।