লো প্রেসার বা ব্লাড প্রেসার লো হলে কি খাবেন?
আমাদের শরীরের জন্য উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেসার ক্ষতিকর। প্রেসার যদি খুব বেশি নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে শরির অসুস্থ্য হয়ে যায়।
অতিরিক্ত পরিশ্রম, অতিরিক্ত টেনশন করা, ভয় ও স্নায়ু জনিত দুর্বলতা থেকে ব্লাড প্রেসার লো হতে পারে। রক্তচাপ সাধারণত 90/60 থেকে 120/80 মিলিমিটার পারদ (mmHg) এর মধ্যে থাকে।
লো প্রেসারের লক্ষণ:
- মাথা ঘোরানো
- ক্লান্তি
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- বমি-বমি ভাব
- অবসাদ
- দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও
- স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়ে থাকে
ব্লাড প্রেসার লো হলে কি খাবেন?
রক্তচাপ কম হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। ব্লাড প্রেসার লো হলে আমাদের কি খাওয়া ভালো তা নিচে দেওয়া হলো –
বার বার খাওয়া:
রক্তচাপ কম হলে আপনাকে বার বার খেতে হবে। দিনের বেশিরভাগ সময় আপনি যদি বার বার খান তাহলে রক্তচাপের ড্রপ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। সুতরাং, আপনি যদি দিনে তিনটি পূর্ণ খাবার খান, তাহলে দিনে পাঁচটি ছোট খাবার খাবেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায়।
পর্যাপ্ত লবণ খান:
নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় হলে খাবারে লবণের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিন। লবণ রক্তচাপ বাড়াতে সহায়তা করে। এক গ্লাস পানিতে ১/২ চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন প্রতিদিন দুই বার করে এই লবণ মিশানো পানি খান।
আপনি চাইলে লবণ দিয়ে স্যালাইন বানিয়ে ও খেতে পারেন। লবণ উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি জল ধরে রাখার মতো সমস্যা সমাধান করে থাকে।
বেশি করে পানি পান করুন:
পানিশূন্যতার কারণে অনেক মানুষ নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তাই রক্তচাপ কমে যাওয়া সমস্যা থাকলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
পানি পানের পাশাপাশি নিম্ন রক্তচাপযুক্ত ডায়েটে প্রচুর তাজা ফলের রস খেতে পারেন। ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম সেরা উপায় হল পানি; সুতরাং, পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করুন:
চা বা কফির মতো ক্যাফিনযুক্ত পানীয় আপনার রক্তচাপকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যখন আপনার রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে যাই, তখন এক কাপ কফি বা চা আপনার রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে তুলতে পাড়ে। এটি আপনার রক্তচাপেকে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়।
তুলসী পাতা:
প্রচুর ঔষধি গুনাগুণ সম্পন্ন তুলসী পাতা নিম্ন রক্তচাপ সমস্যা সমাধান করতে অনেক ভূমিকা রাখে। তুলসী পাতায় উচ্চমাত্রায় পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন-সি রয়েছে যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
পুষ্টিকর খাবার খান:
রক্তচাপ কম হলে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিকর খাবার খান। আঁশ জাতীয় খাবার, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং প্রচুর শাক-সবজী রাখুন খাবার তালিকায়। শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, আলু, রুটি, চিনি ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে দিন। প্রতিদিন বার বার অল্প করে কিছু খাবার খান। তাহলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে।