উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোর সহজ উপায়।

মানুষ তার মস্তিষ্কের সামর্থ্যের খুব সামান্যই ব্যবহার করে থাকে। সেই হিসেবে মস্তিষ্কের বড় একটি অংশই অব্যবহৃত থেকে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, মাংসপেশির মতোই মস্তিষ্কেরও যত বেশি চর্চা ও ব্যবহার করা হবে, ততই এটি কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। তীক্ষ্ণ বা ক্ষুরধারও হবে।

বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ) ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য সহজ কয়েকটি পরামর্শ:

  • কম্পিউটারে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির বিভিন্ন গেমস আছে। এ রকম গেমস খেলতে পারেন।
  • ধাঁধা বা পাজল অনুশীলনের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করা যায়।
  • মস্তিষ্কের অব্যবহৃত অংশকে সক্রিয় করতে কিছু কাজ করা যেতে পারে। যেমন: বাম হাতে দাঁত ব্রাশ করা, বাম হাতে পেয়ালা ধরে চা-কফি পান করা ইত্যাদি।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ – ৭ ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্ককে কর্মদক্ষ করে তোলে।
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে সতেজ ও কর্মদক্ষ করে।
  • চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • প্রতিদিন কম করে ৩০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
  • হালকা ধরনের সংগীত মস্তিষ্কের জটিল সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
  • ধূমপান পরিহার করে ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে অনেক বয়স পর্যন্ত মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখা যায়।
  • মেধা বা বুদ্ধি বাড়াতে আপনাকে নিজ মস্তিষ্কের সামর্থ্য ব্যবহার নিয়ে সচেতন হয়ে উঠতে হবে।

বুদ্ধি বাড়ানোর কৌশল:

১. একই কাজ অন্যভাবে করা:

ইন্টেলিজেন্স হতে হলে আপনাকে একই কাজ অন্যভাবে করতে হবে। আপনার ব্রেনকে অচেনা জিনিসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

ব্রেন তখন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা মোকাবেলা করতে শিখবে। এতে ব্রেনের শক্তি বাড়বে।

২. মেডিটেশন :

মেডিটেশন মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। পাশাপাশি ধৈর্য, মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি সবই বাড়ে। শুধু নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মন নিবদ্ধ করতে হবে।

অন্য কোথাও মনোযোগ না দিয়ে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস গুনতে হবে। দিনে মাত্র আধা ঘণ্টা সময় দিলেই যথেষ্ট।

ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা ব্যায়াম এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেডিটেশন করা ভালো।

৩. হালকা ব্যায়াম :

সুস্থ্য শরীরে বাস করে সুন্দর মন, মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই প্রতিদিন মিনিট একটু হালকা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে হবে।

৪. খাওয়া-দাওয়া :

খাবারের তালিকায় যেন প্রচুর ফলমূল থাকে। খুব বেশি তেল-ঝাল-মসলা না খেয়ে সহজপাচ্য খাবার খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে ভালো।

বেশি বেশি ভিটামিন “বি” খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিকালে বা সন্ধ্যার পর হালকা খাবার খাওয়াই স্বাস্থ্যকর।

৫. সময়মতো পর্যাপ্ত ঘুম :

সব মানুষ একরকম নয়। কারও মস্তিষ্ক সকাল ৯টায় সবচেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল থাকে, কারও আবার রাত ৯টায়। তাই নিজের একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নেওয়া উচিত বিশ্রামের জন্য।

কারণ, মস্তিষ্ক যখন বিশ্রাম চাইবে, তখন ঘুমিয়ে নেওয়া উচিত। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ – ৭ ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্ককে কর্মদক্ষ করে তোলে।

৬. যা ভাবছেন লিখে ফেলুন :

যা যা ভাবছেন, তা মাথা থেকে উড়ে যেতে না দিয়ে খাতায় লিখে ফেলুন। প্রতিদিনের চিন্তা-ভাবনাগুলো লিখে রাখার জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ করুন।

৭. ধাঁধা সমাধান :

ধাঁধার চর্চা করতে হবে। নতুন কাউকে পেলেই তাকে ধাঁধা জিজ্ঞেস করে ধাঁধায় ফেলে দিতে পারেন।

অনেকে এই জাতীয় সমস্যা সমাধানগুলোর জন্য সপ্তাহে দুই দিন অন্তত তিন ঘণ্টা বরাদ্দ রাখেন। তার চেয়ে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে ধাঁধার সমাধান বেশি কার্যকরী।