হার্ট অ্যাটাকের পরে জীবনধারার পরিবর্তন।

আমাদের চারপাশে এখন প্রতিনিয়ত হার্ট অ্যাটাকের রোগী বাড়ছে। অনেকের হার্ট অ্যাটাকের পুনরাবৃত্তি ঘটে। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা আবশ্যক।

জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো আনতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের পুনরাবৃত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাকের পরে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করা জরুরী।

আপনার ওষুধের প্রয়োজন আছে কিনা এবং জীবনধারার পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হার্ট অ্যাটাকের পরে জীবনধারার পরিবর্তন

হার্ট অ্যাটাকের পরে জীবনধারার পরিবর্তন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল:

ব্যায়াম করা:

হার্ট অ্যাটাকের পরে ব্যায়াম হল শক্তি পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি। এটি আপনাকে আরও ভালো এবং সুন্দর জীবনযাপনে সহায়তা করবে।

প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এটি পেশী বজায় রাখতে এবং শক্তি অর্জনের জন্য অপরিহার্য।

ব্যায়ামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে যেকোন রোগের ঝুঁকি কম থাকে, পেশী শক্তিশালী হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করুন:

মাছ, চর্বিহীন প্রোটিন, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, শাকসবজি, ফল, বাদাম, লেবু এবং গোটা শস্য গ্রহন করুন।

যে খাবারগুলি আপনার জন্য ভালো নয় এমন খাবারগুলিকে বাদ দিন। যেমন ডায়েটারি কোলেস্টেরল, উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট।

এই খাবারগুলি রক্তচাপ, প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং হার্টের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।

ধূমপান বন্ধ করুন:

তামাকের ধোঁয়া আমাদের দেহের অনেক ক্ষতি করে থাকে। ধূমপানের ফলে রক্ত আঠালো হতে শুরু করে এবং জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ায় যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। সিগারেটের অভ্যাস ত্যাগ করুন।

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রন করুন:

স্ট্রেস থেকে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। এটি সুস্থ্য হার্টের জন্যও ভালো নয়। গবেষনায় দেখা যায় যে, স্ট্রেস হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

দৈনিক কিছু অনুশীলন খুঁজে বের করা প্রয়োজন যা আপনাকে চাপের সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে যেমন ধ্যান, যোগব্যায়াম বা অন্য ধরণের ব্যায়াম। এগুলোর জন্য একটি রুটিন থাকা অপরিহার্য।

চেকআপ করুন:

রক্তে শর্করা, রক্তচাপ, চর্বির মাত্রা ইত্যাদি নিয়মিত চেকআপ করুন ও নিয়ন্ত্রণে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। ওষুধগুলো নিয়মিত সেবন করুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা:

শরীরের ওজন যত বেশি হবে, হৃদযন্ত্রের কাজ ততই কঠিন হবে। এতে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়ে। সঙ্গে যদি উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে তবে ঝুঁকি আরও বাড়ে। তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা দরকার।

রেফারেন্স: