যোগাসন লম্বা হওয়ার জন্য। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য কিছু সহজ এবং কার্যকর যোগাসন।

লম্বা হতে কে না চায়। কারো উচ্চতা যদি কম হয় অর্থাৎ একজন খাটো মানুষের মনের ভেতরের গোপন চাওয়া ইশ, যদি আর একটু লম্বা হতে পারতাম।

লম্বা মানুষকে সবাই পছন্দ করে। আসলে এর বিভিন্ন কারণও রয়েছে। আমরা সবাই লম্বা লোকদের আরও বেশি আবেদনময়ী মনে করি। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ভাল উচ্চতা কেবল শারীরিক সুবিধা দেয় না তবে এটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং উচ্চতর আইকিউর সাথেও জড়িত।

জার্নাল প্লস জেনেটিক্সে প্রকাশিত অধ্যয়নটি প্রকাশ করেছে যে,

আপনি কতটা লম্বা হবেন সেটি আপনার পিতামাতা ও পূর্বপুরুষ অর্থাৎ বংশগত বা আপনার জেনেটিক কারণ সবকিছুই নয়। অনুশীলন বা ব্যায়াম, সেই ছোট্টটি থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পরিবেশগত অবস্থার মতো অন্যান্য কারণগুলির দ্বারাও নির্ধারিত হয়।

এটি বয়ঃসন্ধিকালে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণত বয়ঃসন্ধি শেষ হওয়ার পরে থামে। তাই এই সময়টা ইয়োগা বা যোগব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি বয়ঃসন্ধিকালে উচ্চতায় মাঝারি বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন এবং আপনার উচ্চতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, তবে আপনি সঠিক নিয়মে রয়েছেন।

মূল যে উপাদানটি উচ্চতা বৃদ্ধি করে তার নাম হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (এইচজিএইচ), যা নিসৃত হয় পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে মানুষের উচ্চতা বেশি বাড়ে। এ সময় বিশেষ কিছু যোগাসনের নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডকে উত্তেজিত করে ভালো উচ্চতা পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত যোগাভ্যাসের মাধ্যমে উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব।

আপনি যোগ অনুশীলন করে একটি দীর্ঘ ফ্রেম অর্জন করতে পারেন। যোগা অনুশীলন আপনাকে শিথিল করবে এবং আবেগময় এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেবে।

নির্দিষ্ট যোগাসনগুলি আপনার দেহকে প্রসারিত করবে এবং নমনীয়তা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলি মেরুদণ্ডকে সোজা করে এবং পুননির্মানে সহায়তা করে, যার ফলে লম্বা অঙ্গবিন্যাস হতে পারে। সুতরাং, আপনার উচ্চতা বাড়ানোর জন্য এখানে কিছু যোগাসন রয়েছে।

অনাগত কাল থেকেই যোগব্যায়াম সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অনুশীলন করা হচ্ছে। তবে আপনি অবাক হবেন যে, আপনার উচ্চতা বাড়াতেও  যোগ ব্যায়াম ব্যবহার করা যেতে পারে।

লম্বা হওয়া বা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য কিছু সহজ এবং কার্যকর যোগাসন:

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (২১ শে জুন) প্রতিবছর আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি কয়েক ইঞ্চি যুক্ত করতে এবং আপনার দেহের সামগ্রিক বিকাশ বৃদ্ধিতে কিছু কৌশল এবং টিপস নিয়ে হাজির হয়।

বেশিরভাগ লোকেরা যা বিশ্বাস করেন তার বিপরীতে, আপনার উচ্চতা ২৩-২৪ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়ার সুযোগ থাকতে পারে, যার পরে শরীর বৃদ্ধির হরমোনটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

বৃক্ষাসন (গাছের ভঙ্গি):

প্রণালী:

দুপায়ের উপর সমানভাবে ভর রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াও। এখন ডান পা হাঁটুর কাছে ভেঙে বাঁ দিকে নিয়ে গিয়ে বাঁ জানুর মূলদেশে ডান পা রাখো। বাঁ পায়ের উপর দেহের ভার রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াও। এই অবস্থায় হাত দুটি ছবির মতো ভঙ্গিমায় রাখো। ৩০-৪০ সেকেন্ড থাকার পরে পা বদল করে ঠিক একই রকমভাবে আবার অভ্যাস করো।

উপকারিতা:

বৃক্ষ আশান বা বৃক্ষ ভঙ্গি উচ্চতা বাড়াতে আর একটি কার্যকর যোগাসন। এই ভঙ্গি পিটুইটারি গ্রন্থিকে সক্রিয় করে, যা গ্রোথ হরমোন তৈরির জন্য দায়ী। এই আসন অভ্যাসে দেহের ভারসাম্য ঠিক থাকে। পায়ের, কোমরের ও মেরুদণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

treepose

Tadasana(পর্বত পোজ বা পর্বতাসন):

পর্বতাসন বা তাদাসানা বা মাউন্টেন পোজ আপনার দেহের সমস্ত পেশী প্রসারিত করে। আপনার শরীর ভঙ্গুর দীর্ঘায়ু অনুভব করে যা দেহ দ্বারা বৃদ্ধি হরমোন গঠনেও সহায়তা করে।

আপনার ঘাড়, কোমর এবং পা দিয়ে সোজা হয়ে সোজা লাইনে সারিবদ্ধ করুন। হাত দু’পাশে এবং পায়ে একসাথে রাখুন। নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন এবং আপনার বাহু আকাশের দিকে সোজা করে রাখুন। এবার আস্তে আস্তে আপনার পায়ের আঙ্গুলগুলি তুলে আপনার পায়ের আঙ্গুলের উপর দাঁড়ান। আপনার দেহকে যতটা সম্ভব প্রসারিত করুন। এখন আসল অবস্থানে ফিরে আসুন।

ভুজঙ্গাসনা (কোবরা পোজ):

এই আসনে অবস্থানকালে কোমর থেকে দেহের উপরের অংশকে উপরে তুলতে হয়। এই সময় এই আসন অভ্যাসকারীকে ভুজংগ (অর্থাৎ সাপ) ফণা তুললে যেমন দেখতে হয় সেই রকম দেখায়। সেজন্য হয়তো এই আসনের নাম ভুজঙ্গাসন হয়েছে।

প্রণালী:

পা দুটি জোড়া করে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ো। শরীরের সমস্ত মাংসপেশিকে শিথিল করো। এবার দুই হাত কনুইয়ের কাছ থেকে ভেঙে বুকের কাছে কাঁধের তলায় মাটিতে হাতের চেটো রাখো। এ

খন হাতের উপর অল্প ভর দিয়ে চিবুক উপরে তোলো ও ঘাড় পিছন দিকে নিয়ে যাও। এবার পা থেকে নাভি পর্যন্ত শরীরের নিচের অংশ ভূমি সংলগ্ন রেখে দেহের উপরের অংশ উপরে তোলো ও নিচের ছবির মতো মেরুদন্ড পিছনের দিকে বাঁকাও।

এই অবস্থায় ৩০ থেকে ৩৫ সেকেন্ড থেকে যথাক্রমে পেট, বুক, ঘাড় ও চিবুক নামিয়ে ভূমি সংলগ্ন করো এবং ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড শবাসন করো। এইভাবে এই আসন ও শবাসন কমপক্ষে ৪ বার অভ্যাস করতে হবে।

উপকারিতাঃ

ভুজঙ্গাসন আপনার নীচের পিঠ, উপরের পিঠ এবং পেটের পেশীগুলি প্রসারিত করে। এটি আপনার কোমরের চারপাশের খারাপ ফ্যাট হ্রাস করতে সহায়তা করে। আপনার উচ্চতা বাড়াতে এটি অন্যতম সেরা যোগাসন।

 

পশ্চিমোত্তানাসন (বামন এগিয়ে ফেলা):

আপনার পুরো শরীরের জন্য পশ্চিমোত্তানাসন উপকারী। সকালে খালি পেটে আসন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি যদি সন্ধ্যায় এটি করেন নিশ্চিত হন যে আপনি চার থেকে ছয় ঘন্টা আগে আপনার খাবার খেয়েছেন।

প্রণালী:

চিৎ হয়ে হাত দুটি মাথার উপরে লম্বালম্বি ছড়িয়ে শুয়ে পড়ো। এবার কোমর থেকে গোড়ালি পর্যন্ত পা দুটি সোজা রেখে কোমর থেকে দেহের উপরের অংশ দম নিতে নিতে আস্তে আস্তে মেঝে থেকে তুলে সামনে বেকিয়ে দুহাতের আঙ্গুল দিয়ে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ধরো ও দম ছাড়ো।

এবার সামনের দিকে আরো ঝুকে কপাল ও মুখ হাঁটুতে ছবির মতো ঠেকিয়ে দাও এবং সঙ্গে সঙ্গে হাত দুটি কনুইয়ের কাছ থেকে ভেঙ্গে কনুই হাঁটুর কাছে মাটিতে ঠেকাও। প্রথম অভ্যাস করতে গেলে এটা ১০০% পারফেক্ট হবে না। সেক্ষেত্রে পা হাঁটুর কাছে একটু ভেঙে হাটু অল্প উপরে তুলে এই আসন অভ্যাস করতে হবে।

paschimottanasana

উপকারিতাঃ

ভঙ্গিটি আপনার হ্যামস্ট্রিং এবং মেরুদণ্ড প্রসারিত করে। লম্বা হতে ভালো কাজ দেয় অর্থাৎ এটি উচ্চতা বৃদ্ধি করে। এটি লিভার এবং কিডনিকে উদ্দীপিত করে।  হজম উন্নতি করে, মাথাব্যথা হ্রাস করে, স্থূলত্ব হ্রাস করে, ক্ষুধা বাড়ায় এবং অনিদ্রা ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করতে পারে।

ত্রিকোণাসন (ত্রিভুজ পোজ):

এই আসনে দেহ ত্রিকোণ অর্থাৎ ত্রিভুজের মতো দেখায় বলে এই আসনের নাম ত্রিকোণাসন।

প্রণালী:

পা দুটি সুবিধামতো দুই ফুট থেকে আড়াই ফুট ফাঁক করে দাঁড়াতে হবে। এরপর কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ বা দিকে বেকিয়ে ছবির মতো উপরে প্রসারিত দেন হেতের দিকে তাকাতে হবে। এই অবস্থায় সাধ্যমত ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড থেকে হাত দেহের দুপাশে নামিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।

এরপর একইভাবে বিপরীতদিকে অর্থাৎ কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ ডান দিকে বেকিয়ে এই আসনটি অভ্যাস করতে হবে।

 

 

Trikonasana

উপকারিতাঃ

এই আসন অভ্যাসে মেরুদণ্ডে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। মেরুদন্ড নমনীয় হয়। মেরুদন্ড নমনীয় ও প্রসারিত হওয়া মানে এটি লম্বা হতে সাহায্য করে। ত্রিকোনাসন বা ত্রিভুজ পোজ গোড়ালি, হাঁটু, বাহু, পা এবং বুককে শক্তিশালী করে। কটির ব্যাট ও ব্যথা এই আসনে কমে যায়।

এটি বুক, পড খুলে শরীরের পেশী এবং হ্যামস্ট্রিংগুলি প্রসারিত করে। এটি মেরুদণ্ডের প্রান্তিককরণ উন্নত করতে সহায়তা করে।

সর্বাঙ্গাসন:

যে মুদ্রা অভ্যাস করলে লম্বা হওয়ার সাথে সাথে দেহের সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গ সুস্থ্য, সবল ও নীরোগ হয়, তাকে সর্বাঙ্গাসন বা সর্বাঙ্গ সাধন মুদ্রা বলে।

প্রণালী বা কীভাবে করবেন:

বিপরীতকারনি মুদ্রা অভ্যাস সহজ সাধ্য হলে সর্বাঙ্গাসন অভ্যাস করা সহজ হয়।

চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দুটি সোজা উপরে তোলো। পা দুটি পরস্পরের সঙ্গে মিলে থাকবে। হাত দুটি দুই পাশে রেখে হাতের পাতা মাটির দিকে করে রাখুন। শ্বাস টেনে পা দুটি ধীরে ধীরে প্রথমে ৩০, তারপরে ৬০ এবং শেষে ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত ওপরের দিকে তুলুন, পা ওপরের দিকে তোলার সময় হাতের সহায়তা নিতে পারেন। ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত যদি সোজা না হয়, তাহলে ১২০ ডিগ্রি পর্যন্ত পা নিয়ে গিয়ে হাত দুটি তুলে কোমরের সঙ্গে লাগান।

হাতের কনুই মাটির সঙ্গে লেগে থাকবে এবং দুটি পা একসঙ্গে মিলিয়ে সোজা করে রাখুন। পায়ের পাতা ওপরের দিকে উঠে থাকবে এবং চোখ বন্ধ থাকবে অথবা পায়ের বুড়ো আঙুলের ওপর দৃষ্টি রাখুন। আসন থেকে ফিরে আসার সময় পা দুটি সোজা রেখে পেছনের দিকে একটু ঝোঁকান। এরপর আস্তে আস্তে পিঠ, তারপর কোমর ও নিতম্ব মাটিতে নামিয়ে ফেলুন। যতটা সময় সর্বাঙ্গাসন করবেন, ততক্ষণ শবাসনে বিশ্রাম নিন।

sarbangosadhon

সময়কাল:

প্রথমে ৩০ সেকেন্ড করে ৪-৫ বার করুন। পরবর্তী সময়ে টানা ২ মিনিট থাকার চেষ্টা করুন। কিছুদিন পর টানা ৫ মিনিট থাকার চেষ্টা করুন। এই আসন আপনি ২ মিনিট থেকে শুরু করে টানা ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারেন।

উপকারিতা:

এই আসনে থাইরয়েড এবং পিটুইটারি গ্রন্থি মুখ্য রূপে ক্রিয়াশীল হয়ে উঠায় এই আসন উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ উপকারী প্রমাণিত হয়। এই আসনে দুর্বলতা, ক্লান্তির বিকার দূর হয়। এড্রিনাল, শুক্রগ্রন্থি এবং ডিম্বগ্রন্থিকে এই আসন শক্তিশালী করে তোলে।

যোগের অর্থ হল মন ও শরীরের সংযোগ। যোগের মাধ্যমে শান্ত মন ও সুস্হ শরীর পাওয়া যায়। যোগ শরীর থেকে টক্সিনকেও দূর করে। শরীরের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যোগ শরীরের ভিতরের কলকব্জাকেও সুস্হ, সজীব করে তোলে। শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য যে হরমোনের প্রয়োজন সেই হরমোন শরীরে নিসৃত হয় মনে শান্তি থাকলে। শরীরের সঠিক ভঙ্গিমাও এক্ষেত্রে খুব কার্যকরী। প্রতিদিন কয়েক মিনিট যোগ অভ্যাস করলে মন শান্ত থাকে ও শরীরের সঠিক ভঙ্গিমাও রপ্ত হয়ে যায়। ‘

একটা প্রচলিত কথা আছে – “আমি ছোট নই, পৃথিবীটা ভীষণ বড়।”  আগেই বলেছি লম্বা হওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কারণ জিনগত, খাদ্যাভাস, পুষ্টি ও পরিবেশ। আর একজন মানুষের উচ্চতা বাড়ে একটা নির্দিষ্ট সময়, অর্থাৎ বয়স পর্যন্ত। বিশেষ করে শৈশব–কৈশোর ও তারুণ্যের শুরু পর্যন্ত মানুষের উচ্চতা বাড়ে। তাই এই সময়ে সঠিক পুষ্টির পাশাপাশি কিছু যোগব্যায়ামে ভালো ফল মেলে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই ছোটবেলায় লম্বা হবার জন্যে গাছে লোহার রিং দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলেছি।  অনেকক্ষণ ধরে সাইকেল চালিয়েছি, সাঁতার কেটেছি। মাত্র ২-১ ইঞ্চি উচ্চতা বাড়ানোর জন্য মনে গোপন আশা নিয়ে কতনা কষ্ট করা।

ভালো চাকরি ও জীবন সম্বন্ধে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে শারীরিক উচ্চতার উপর। যোগব্যায়াম বা যোগাসন রপ্তকরা কঠিন ভাবলে হবে না। এটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। জীবনের অঙ্গ। তাহলে আপনি যোগব্যায়াম করে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

সূত্রঃ

https://www.india.com/lifestyle/increase-height-with-yoga-5-simple-and-effective-yoga-asanas-to-grow-taller-1976820/

https://food.ndtv.com/health/yoga-to-increase-height-6-poses-that-may-help-1420331