ধূমপান কিভাবে ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
মানুষ যত বেশি ধূমপান করতে শুরু করেছে, তত বেশি ফুসফুসের ক্যান্সারের হার মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ধূমপানকারী প্রত্যেক ব্যক্তির ফুসফুস ক্যান্সার হবে এমন টা নয়, তবে ধূমপান উল্লেখযোগ্যভাবে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। যারা ধূমপান করেন তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ গুণ বেশি ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
এখন পর্যন্ত, অধিকাংশ মানুষ ধূমপান এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে সচেতন। তবে কিছু কিছু লোকেরা বলে থাকে আমার বাবা বা চাচা ৫০ বছর ধরে ধূমপান করে এবং সে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় নাই।
ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য এক নম্বর ঝুঁকির কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ধূমপান প্রায় ৮০% থেকে ৯০% ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তামাকের ধোঁয়া হল ৭,০০০ টিরও বেশি রাসায়নিকের বিষাক্ত মিশ্রণ।
যারা সিগারেট খান তাদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বা ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা, যারা ধূমপান করে না এমন লোকদের তুলনায় ১৫ থেকে ৩০ গুণ বেশি।
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এটি অনুমান করা হয় যে, ধূমপান পুরুষদের ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য প্রায় ৯০% এবং মহিলাদের জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৮০% দায়ী।
আসলে ধূমপান এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের মধ্যে বিষয়টা কী? এবং ধূমপান কিভাবে ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী?
কিভাবে ধূমপান আপনার ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়?
আপনি যখন তামাকের ধোঁয়ায় শ্বাস নেন, তখন হাজার হাজার রাসায়নিক আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে। এই রাসায়নিকগুলির মধ্যে অনেকগুলি আপনার ফুসফুসের কোষগুলির DNA কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আপনার শরীর এই রাসায়নিকগুলির দ্বারা যে ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করার জন্য কাজ করবে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, ধূমপান শরীরের নিরাময় করার ক্ষমতা হারাবে এবং তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। অবশেষে এটি ক্যান্সার কোষ গঠনের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
তামাকের ধোঁয়া ফুসফুসে প্রবেশ করে অ্যালভিওলি (alveoli) নামক ক্ষুদ্র বায়ু থলিকেও ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। অ্যালভিওলি শ্বাসযন্ত্রের গ্যাস বিনিময়ের কেন্দ্র। এটি রক্তে অক্সিজেন স্থানান্তর করে এবং যখন আপনি শ্বাস ছাড়েন তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।
সময়ের সাথে সাথে, ফুসফুসের অ্যালভিওলির ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
গবেষণা থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান করে তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।