ডায়রিয়া হলে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়।
ডায়রিয়া বা উদরাময় হল প্রতি দিন কমপক্ষে তিনবার পাতলা বা তরল মলত্যাগ হওয়ার রোগ। এটা প্রায়শ কয়েক দিন স্থায়ী হয় এবং এর ফলস্বরূপ শরীর থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে দেখা দেয় পানি শূন্যতা। এতে করে রোগী আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে।
গরম এলেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তাই এই সময় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া-আক্রান্ত নানা বয়সের রোগীর ভিড় দেখা যায়।
খাবার হজম না হওয়া, সঠিক খাদ্য বাছাই না করা, স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজিত হওয়া কিংবা অতিরিক্ত ল্যাক্সিটেভ ওষুধ সেবনে ডায়রিয়া হতে পারে।
এছাড়া পরজীবীর সংক্রমণ, রোগজীবাণু, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, খাবার ও পানির মাধ্যমে খাদ্যবিষ দেহে প্রবেশের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। কোনো কোনো সময় খাদ্যে অরুচি ও অ্যালার্জি থেকেও ডায়রিয়া হয়।
কিছু খাবার রয়েছে যা ডায়রিয়া রোগীকে দেওয়া কখনোই উচিত নয়। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে-
দুধ:
ডায়রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাবেন না। দুধ হজমে সমস্যা করে এবং এই সময় পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে। পনির, দুধ, মাখন জাতীয় খাবার এসময় না খাওয়াই ভালো।
চা বা কফি:
ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় ডায়রিয়া হলে খাওয়া উচিত নয়। এই সময় চা বা কফি পেটের জ্বালা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এর পরিবর্তে আপনি আদা চা খেতে পারেন।
ঝাল বা তৈলাক্ত খাবার:
ডায়রিয়া হলে ডুবো তেলে ভাজা বা ঝাল মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ ঝাল বা ফ্রাই করা খাবার খেলে পেটে গ্যাস হবার সম্ভাবনা থাকে।
মদ্যপান:
ডায়রিয়ায় ভুগলে কিংবা পেটের যেকোনো সমস্যায় মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। এতে হজমে সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
ডায়রিয়া হলে উপরের এসব খাবারের পাশাপাশি আরও কিছু খাবার যেমন: ভাজাপোড়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার, অতিমাত্রায় আঁশযুক্ত খাবার যেমন- শক্ত ভাত, বাদাম, প্যাকেটজাত খাবার, বাঁধাকপি, টক ফল পরিহার করা উচিত।
এবং আপনারা সবাই জানেন নিশ্চয়ই, এক লিটার পানির সঙ্গে এক মুঠো গুড় বা চিনি ও এক চিমটি লবণ মেশালেই তৈরি হয় খাওয়ার স্যালাইন।
প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে এটা ডায়রিয়া রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে। স্যালাইন ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না এবং চুলায় গরম করা যাবে না।