গরুর খাঁটি দুধ চেনার উপায়।

গরুর খাঁটি দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। সব বয়সী মানুষের জন্য গরুর দুধ এক অনন্য উপাদান। গরুর খাঁটি দুধের স্বাস্থ্য গুণ অনেক বেশি। কিন্তু ব্যবসায় অতি লাভের জন্য কোনো কোনো ব্যবসায়ী দুধ ভেজাল করেন। সেই দুধ খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। দুধে ভেজাল আটকাতে না পারলেও কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে দুধ খাঁটি কি না তা সহজেই বুঝা যায়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, গরুর খাঁটি দুধ চেনার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে

  • সামান্য পরিমাণে দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। ভেজাল হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।
  • একটি কাপে অল্প পরিমাণ দুধ ঢেলে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করুন। এবার একটি চামচ দিয়ে ৩-৪ মিনিট ভালো করে মেশান। যদি দেখেন ছানা তৈরি হচ্ছে, তবে এ দুধ খাঁটি।
  • দুধ গরম করতে গেলেই কি হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? তা হলে এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মেশানো হয়েছে কার্বোহাইড্রেট।
  • যদি দেখেন দুধে মাছি বসছে না, তবে বুঝতে হবে দুধে ফরমালিন মেশানো আছে। দুধে ফরমালিন রয়েছে কিনা আরও ভালোভাবে বুঝতে কিছু পরিমাণ দুধ পাত্রে ঢেলে তার মধ্যে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি দুধ নীল রঙ হয়, তবে বুঝতে হবে ফরমালিন আছে।
  • অল্প একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ লবণ মেশান। যদি লবণের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এ দুধ খাঁটি নয়।
  • খাঁটি দুধে প্রতি কেজিতে ১৮০-১৮৭ গ্রাম ছানা হবে। যদি ১৮০ গ্রামের কম ছানা হয়, তবে বুঝতে হবে দুধে পানি মিশ্রিত আছে।
  • দুধের সমান পরিমাণ পানি মেশান একটি শিশিতে। এবার শিশির মুখ বন্ধ করে জোরে ঝাঁকান। অস্বাভাবিক ফেনা হলেই বুঝবেন দুধে মেশানো আছে ডিটারজেন্ট।
  • এক চামচ দুধে সামান্য পরিমাণ সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছুক্ষণ রেখে এই মিশ্রণের ভিতর লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস পেপার ডোবাতেই লাল লিটমাস নীল হয় তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে দুধে। এ দুধ খাঁটি নয়।