খাবারে কৃত্রিম রংয়ের ক্ষতিকর প্রভাব।

সুস্থ্য সুন্দর জীবন জাপনের জন্য দরকার খাবার। তবে শুধু খাবার হলেই হয়না সেই খাবার কতোটা পুষ্টিকর সেই বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। খাবার আকর্ষণীয় ও সুন্দর কারে তোলার জন্য খাবারে বিভিন্ন রকমের রং মিশানো হয়।

খাবার লোভনীয় করে তুলতে রং ব্যবহার করা হচ্ছে যা আমাদের শারীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। এর প্রভাবে ক্ষতি হচ্ছে শরীরের অনেক অংশের যেমন কিডনি, হৃদপিন্ড, অস্থি-মজ্জা ইত্যাদি।

পুষ্টিকর খাবার যেমন অমাদের সুস্থ্য রাখে তেমনি অপুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরে বিষের মতো কাজ করে থাকে। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ জন্ম দেয়।

তেমন কৃত্রিম রং (artificial dyes) হলো একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য। যা জেলি, চকলেট, চিপস, মিষ্টি, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গত ৫০ বছরে কৃত্রিম রংয়ের ব্যবহার ৫০০% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শিশুরা এর সবচেয়ে বড় ভোক্তা।

নিচে কৃত্রিম রংয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো

আন্তর্জাতিক খাদ্য আইনে বলা রয়েছে খাবারে ফুড কালার বা খাবারের রং ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু ফুড কালারের দাম অনেক বেশি তাই খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কমদামি রং খাবারে ব্যবহার করে থাকে।

একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, যখন এই কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খাওয়া হয় তখন গলা থেকে বুক পর্যন্ত একধরনের জ্বালা হয়।

  • এসব রং মেশানো খাবার খেলে এ্যাসিডিটির সমস্যা হয়।
  • কৃত্রিম রং ক্যান্সারের কারণ।
  • এসব খাবার খেলে যখন হজম প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন বমি বমি ভাব লাগে এবং পেট ভারী ভারী লাগে।
  • অনেক সময় মাথা ব্যথাও করতে পারে। এসব হলো তাৎক্ষণিক সমস্যা।
  • তবে দীর্ঘমেয়াদী যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তারমধ্যে কিডনির সমস্যা হলো অন্যতম।
  • তাছাড়া চামড়ায় বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। 
  • ওজন বৃদ্ধি পাওয়া এবং উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অনেক সময় হরমোন তার ভারসাম্য হারায়।
  • কৃত্রিম রং ব্যবহৃত খাবার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

অর্থাৎ কৃত্রিম রং কোন ভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই কৃত্রিম রং খাবারে ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই আমাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

রেফারেন্স: