এলাচ উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও সর্দি-কাশি উপশম করে।
এলাচ তীব্র ঘ্রান, কিছুটা মিষ্টি স্বাদযুক্ত একটি মশলা। এটি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হলেও বিশ্বব্যাপী মিষ্টি এবং মজাদার খাবারে ব্যবহৃত হয়। কেউ কেউ এলাচকে পুদিনার সাথে তুলনা করে।
পায়েশে এলাচ ব্যবহার করলে পায়েশের স্বাদ কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। এছাড়া দুধ চা, মিষ্টি, রসগোল্লা এবং গাজরের হালুয়াতে এলাচের ব্যবহার এগুলোর স্বাদ কয়েকগুন বৃদ্ধি করে। খাবারে স্বাদ বৃদ্ধি করাই শুধু নয়, এলাচ স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
রান্না ঘরের অতিপরিচিত মসলা এলাচের অনেক ঔষুধী গুন রয়েছে। এটি রক্তচাপ হ্রাস করতে, শ্বাস প্রশ্বাসের উন্নতি করতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এলাচ ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে এবং লিভারকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। নিচে এর আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারীতা দেওয়া হলো –
- উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন লোকদের জন্য এলাচ বন্ধু হতে পারে। একটি সমীক্ষায় গবেষকরা উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ২০ জন প্রাপ্ত বয়স্ককে দিনে ৩ গ্রাম করে ১২ সপ্তাহ এলাচ গুঁড়ো খেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। ১২ সপ্তাহের পরে, সেসব লোকেদের রক্তচাপের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল।
- এলাচ হজমে সহায়তা করতে হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বমি বমি ভাব এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার নিরাময়ে এলাচ খুবই কার্যকর।
- এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে নিঃশ্বাসকে সতেজ করে তোলে।
- সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। এলাচ দিয়ে চা বানিয়ে সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কমতে পারে সর্দি-কাশির উপদ্রব।
- গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত এলাচ ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে।
- নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়া সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
- এলাচ ফুসফুসে বায়ুপ্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে এবং শ্বাস প্রশ্বাস ভালো করতে পারে। ব্যায়ামের সময় দেহে অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি হাঁপানির চিকিৎসার ভালো কাজ করে।
- গবেষণায় দেখা গেছে যে, এলাচ রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে এলাচ খেলে গর্ভপাত হতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের জন্য এলাচ উপযুক্ত নাও হতে পারে। যেসব লোকেদের পিত্তথলিতে পাথর আছে তারা খাবারে এলাচ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করবেন না।