প্রতিদিন “মর্নিং ওয়াক” করলে কি কি উপকার হয় জেনে নিন।

পরিবেশ দূষণের মাত্রা বর্তমানে যেভাবে বেড়েছে তাতে নিঃশ্বাস নিতেও ভয় লাগে। দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয় হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঢাকা শহরই দূষণে প্রথম।

বিভাগীয় শহরসহ দেশের অন্যান্য শহরের দূষণও ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে গেছে।

ক্যান, জার এ ভরা খাবার বিস্কুট, জুস, জ্যাম থেকে শুরু করে চিপস, চকলেট, ন্যুডলস সবকিছুই প্রিজারভেটিভ, ফিলারস ও নানা রকম ক্ষতিকর জিনিস মেশানো।

অর্থাৎ শরীরের ভেতর-বাহির দিন-রাত ধরে চলছে বিষক্রিয়া। এর উপর মানসিক চাপ, টেনশন, দুশ্চিন্তাতো আছেই।

সমাধান কি? সমাধান হলো টেনশন, দুঃচিন্তা বাদ দিন, প্রাকৃতিক খাবার খান এবং প্রতিদিন ভোর বেলা অর্থাৎ সকালে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা হাঁটুন।

প্রতিদিন সকালে হাঁটলে অর্থাৎ মর্নিং ওয়াক করলে সুগার, হৃদরোগ ও ওজন কমার পাশাপাশি মানসিক চাপ কমে যাবে ও মনোযোগ বেড়ে যাবে।

“মর্নিং ওয়াক”-টা আসলি কি?

Fewer People এন্ড More Nature অর্থাৎ পাখির কলকাকলিপূর্ণ বিশুদ্ধ বাতাসে নিশ্বাস নিতে নিতে সূর্য, আকাশ, গাছপালা অর্থাৎ প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করতে করতে হাঁটা।

প্রকৃতির সকালের রূপটাই সর্বশ্রেষ্ট অন্য কোনো সময়ের নয়।

মর্নিং ওয়াক কি সফলতার চাবিকাঠি?

হ্যা, Morning walk- সফলতার চাবিকাঠি।

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিদিন নিয়ম করে মর্নিং ওয়াক করলে শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মস্তৃষ্কের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়।

মস্তৃষ্কে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায় এবং স্ট্রেস হরমোন কম নিঃসৃত হয়।

ছোট-বড় সকলে মর্নিং ওয়াক করুন এবং স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, পড়াশোনা ও কাজকর্মে আগ্রহ বাড়ান এবং সফলতার শিখরে আরোহন করুন।

সকালে হাঁটার উপকারিতাসমূহ:

আপনি সারাদিনের জন্য শক্তি সঞ্চয় করলেন। দিনের বাকি সময়টা ক্লান্তি, শ্রান্তি ও নির্জীবতা জেঁকে বসবে না।

আমাদের প্রত্যেকের সাধারণ একটা এক্সকিউজ হলো- আমি কাজটা বা পড়াটা পরে করবো। গড়িমসি করা বা দীর্ঘসূত্রিতা কমে যাবে।

  • ডায়াবেটিস বা সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

  • মানসিক চাপ কমে যাবে।

  • আয়ু বাড়বে। ৩ লক্ষ মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যাদের সকালে ১৫-২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস ছিল তাদের আয়ু ৩-৪ বছর বেড়েছে।

  • সৃজনশীল চিন্তা বৃদ্বি করে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এ দেখা গেছে যাদের সকালে হাঁটার অভ্যাস আসে তারা ৬০% বেশি সৃজনশীল অন্যদের তুলনায়।

  • নিদ্রাহীনতা দূর করে এবং ঘুম ভালো হয়। হাঁটার অভ্যাসকে বলা হয় সবথেকে সেরা ঘুম বৃদ্বির কাজ যা পরীক্ষায় প্রমাণিত।

  • ওভারি ক্যান্সার, মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ও কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাবে।